স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুজ্বরে চিকিৎসকের মৃত্যু

রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফয়সাল বিল্লাহ নামে এক তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। বারডেম হাসপাতালে টানা তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৭ বছর। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদরের কড়াপুরে। নোয়াখালীতে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করতেন তিনি।

Advertisement

বারডেম হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহীদুল হক মল্লিক এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিনদিন আগে ঢাকার বেসরকারি সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ২৩ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় তাকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ১২টায় আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালের যুগ্ম-পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরের পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তার রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ ৩২ হাজারে নেমে (স্বাভাবিক পরিমাণ ১ লাখ ৫০ হাজার) আসে। ফলে কিডনি ফেইলিউরসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে পড়ে। রাত ৩টায় তিনি মারা যান।

ডা.ফয়সালের বন্ধু ডা. মো. আসিফউদ্দিন জানান, বরিশাল সদরের কড়াপুর গ্রামে ফয়সালের বাড়ি । দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি বিবাহিত ছিলেন। ২০১৫ সালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন ফয়সাল। তিনি নোয়াখালীতে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করতেন। ডা.ফয়সালের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে জানিয়ে আসিফ বলেন, ডেঙ্গু হেমোরেজিকে আক্রান্ত হয়ে ফয়সালের মৃত্যু হয়। তার রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ ১৮ হাজারে নেমে এসেছিল।

Advertisement

তিনি বলেন, ডেঙ্গু হেমোরেজিকে আক্রান্ত হলে বাঁচানো খুব মুশকিল। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সিটি কর্পোরেশনকে আরও বেশি তৎপর হওয়া উচিত।

চলতি বছর ডেঙ্গুজ্বরে মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে একজন, জুনে তিনজন ও জুলাই মাসে চারজনের মৃত্যু হয়।

এমইউ/জেডএ/জেআইএম

Advertisement