প্রথম ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন। করেছিলেন ৫২ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে তো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বলতে গেলে একাই টানলেন। করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। শিমরন হেটমায়ার। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দিলেন ২৭১ রানের দারুণ এক চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
Advertisement
অর্থ্যাৎ গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ২৭২ রান লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৭১ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯৩ বলে ১২৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন শিমরন হেটমায়ার। শেষ ওভারের ৩য় বলে এসে রান আউটের শিকার হন তিনি এবং অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টস জিতে মাশরাফি কেন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটা প্রমাণ করেছেন বোলাররা; কিন্তু একা এক শিমরন হেটামায়ারই সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো। গেইল, লুইস, হোপদের মত ব্যটসম্যানদের তাড়াতাড়ি সাজঘরের পথ দেখালেও একা এক হেটমায়ার দাঁড়িয়ে যান।
তাকে যোগ্য সহযোগিতা করেন সাই হোপ এবং রভম্যান পাওয়েল। সাই হোপ ২৫ এবং পাওয়েল করেন ৪৪ রান। ১২ রানে এভিন লুইসকে ফিরিয়ে উইকেটের সূচনা করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ক্রিস গেইলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৮ বলে ২৯ রান করে ফেরেন গেইল।
Advertisement
এরপর সাই হোপ আর শিমরন হেটমায়ার ৪৩ বলে ২৫ রান করেন। সাকিব আল হাসানের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। জ্যাসন মোহাম্মদ ১৫ বলে ১২ রান করে আউট হন রুবেল হোসেনের বলে। রভম্যান পাওয়েল আর হেটমায়ার মিলে ৯৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন।
অবশেষে পাওয়েল ৬৭ বলে ৪৪ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন, তখন তাকে সরাসরি বোল্ড করেন রুবেল হোসেন। এরপর বাকিরা ছিলেন আসা-যাওযার ভিড়ে। কিন্তু একপ্রান্তে ঠিকই রান তুলে যাচ্ছিলেন হেটমায়ার। ৮৪ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ৪টি। শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ১২৫ রানে গিয়ে রানআউট হন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন পেসার রুবেল হোসেন। যদিও ৯ ওভারে সর্বোচ্চ ৬১ রান দিয়েছেন তিনি। সাকিব আল হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমান নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। বাকি একজন হলেন রানআউট।
আইএইচএস/বিএ
Advertisement