আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা কাবা শরিফ যাওয়ার সামর্থ রাখে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাদের হজ করা আবশ্যক কর্তব্য।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯৭) এ হজ আল্লাহ তাআলার নির্দেশ।
Advertisement
আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক পুরুষের ওপর এবং মাহরাম থাকা সাপেক্ষে নারীর ওপর হজ যথাসময়ে আদায় করা ফরজ। বছরের নির্ধারিত সময়ে সুনির্দিষ্ট ৩টি প্রধান কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে এ হজ আদায় করতে হয়।
কোনো ব্যক্তি যদি হজের প্রধান ৩ কাজের কোনোটি করতে অপরাগ হয় তবে পরবর্তী বছর তা কাজা করার মাধ্যমে হজের ফরজ আদায় করতে হয়।
এ কারণে হজের প্রধান ৩ কাজ- ইহরাম, ওকুফে আরাফা এবং তাওয়াফে জিয়ারত যথাযথভাবে নির্ধারিত সময়ে আদায় করা। যারা নির্ধারিত নিয়মে যথাসময়ে এ ৩টি কাজ আদায় করতে পারবে না; তাদের হজ হবে না।
Advertisement
মনে রাখতে হবে
ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হজ আদায়কারীদের জন্য উল্লেখিত ৩টি কাজ যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। সর্বোত্তম হলো কিরান হজ আদায় করা। তারপর তামাত্তু অতঃপর ইফরাদ। আর কাজ ৩টি হলো-
- মিকাত থেকে ইহরাম না বাঁধা
হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধার নির্ধারিত স্থান (মিকাত) থেকে (পুরুষরা) ইহরামের সেলাইবিহনী দুই কাপড় পরিধান করবে। নারীরা শালিন পোশাক পরিধান করবে। অতঃপর ইহরামের ফরজ দুই কাজ, নিয়ত করবে এবং তালবিয়া পড়বে। মিকাত অতিক্রম করার পর ইহরাম বাঁধলে হজ আদায় হবে না।
Advertisement
আরও পড়ুন > হজে তালবিয়া পাঠের গুরুত্ব ফজিলত ও করণীয়
- ওকুফে আরাফা থেকে বিরত থাকা
ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই ‘হজ’। ৯ জিলহজ সকাল থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত থাকা।
যদি কেউ ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে অপারগ হয় তবে তার হজ হবে না। তাকে পরের বছর আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে হজের কাজা করতে হবে।
এ কারণেই অসুস্থ ব্যত্কিদেরকে অ্যাম্বুলেন্স অথবা অন্য কোনো উপায়ে হলেও আরাফাতের ময়দানে ৯ জিলহজ উপস্থিত করা হয়।
এ দিন আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়ে হজের খুতবা শোনা, মাগফেরাতের নিয়তে তাসবিহ-তাহলিল আদায় করা এবং সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
- নির্ধারিত সময়ে তাওয়াফে জিয়ারত না করা
১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে বাইতুল্লায় এসে তাওয়াফ করা। যদি কেউ এ সময়ের মধ্যে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে ব্যর্থ হয় তবে তার হজ হবে না। তাকে পরের বছর নির্ধারিত দিনে তাওয়াফ কাজা করার মাধ্যমে হজ সম্পন্ন করতে হবে।
১০ জিলহজ সকালে মুজদালিফায় ফজর নামাজ আদায় করে কিছু সময় অবস্থানের পর সূর্য ওঠার আগে মিনায় রওনা হতে হবে। মিনায় পৌছে দ্বিপ্রহরের আগে জামরাতে আকাবায় বা বড় শয়তানকে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করতে হবে। অতঃপর কুরবানি ও মাথামুণ্ডন করেই বাইতুল্লায় এসে ‘তাওয়াফে জিয়ারত’ আদায় করতে হবে। আর তা ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগেই আদায় করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজের প্রধান ৩ কাজ যথা সময়ে যথাযথভাবে আদায় করার প্রতি মনোযোগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর