আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জ শাখার ভুয়া এলসি খুলে ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার রুল নিষ্পত্তি করে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আপাতত তাদের মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী একেএম ফজলুল হক। মামলায় জামিন আবেদনকারী আসামীরা হলেন- মো. শামসুল আলম, আমিনুর রশিদ ও সোহেল রানা।
Advertisement
জামিন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ. কে. এম. ফজলুল হক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহারিন ও একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ছিলেন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এএসএম রাবিবুল বাহার চৌধুরী।
আমিন উদ্দিন মানিক জাগো নিউজকে জানান, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জ শাখায় ভুয়া এলসির মাধ্যমে ঋণ কেলেঙ্কারি করে ৫৯ কোটি ২৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে দুটি মামলা করে দুদক। এ দুই মামলার তিন আসামি খাতুনগঞ্জ শাখার তৎকালীন সিনিয়র প্রিন্সিপল অফিসার মো.শামসুল আলম, প্রিন্সিপাল অফিসার আমিনুর রশিদ, আগ্রাবাদ শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার সোহেল রানার জামিন আবেদন চট্টগ্রাম মহানগর ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী গত ২২ এপ্রিল নামঞ্জুর করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আবেদন করলে ৯ মে তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন আদালত। শুনানি শেষে সেই রুল মঙ্গলবার হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন।
আসামীরা চলতি বছরের ২২ এপ্রিল থেকে জেলহাজতে আছেন।
Advertisement
এফএইচ/জেডএ/এমএস