বেসিক ব্যাংক শান্তিনগর শাখার ৪০ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত রূপসা সার্ভেয়ারের প্রধান ও ম্যানেজিং পার্টনার মো. শাহজাহান আলীর বিষয়ে জারি রুল নিষ্পত্তি করে জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আপাতত তার মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী একেএম ফজলুল হক।
Advertisement
জামিন সংক্রান্ত আবেদনের রুল শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম. ফজলুল হক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহারিন ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ছিরেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম রিয়াদ সলিমুল্লাহ।
২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তার জামিন কেন দেয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। আজ ওই রুলের শুনানিতে এই আদেশ দেন আদালত। পরে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
Advertisement
জানা গেছে, বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা থেকে প্রথমে সৈয়দ ট্রেডার্সের নামে ১৭ কোটি, পরে তা বৃদ্ধি করে ৩০ কোটি ও পুনরায় বৃদ্ধি করে ৪০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়। এরপর এ বিষয়ে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক এ কে এম ফজলে হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত হয়। ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৯ জনকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা করে দুদক।
এরপর আসামিদের করা জামিন আবেদন ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট না-মঞ্জুর করেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে তারা হাইকোর্টে আসেন। হাইকোর্টে রুল জারি করা হয়। আজ ওই রুলের শুনানিতে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে জামিন আবেদন খারিজ করা হলো।
এ মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স সৈয়দ ট্রেডার্সের ম্যানেজিং পার্টনার সৈয়দ মাহবুবুল গণি, পরিচালক সুলতান আহমেদ, সার্ভেয়ার ও অংশীদার মো. ফারুক, রূপসা সার্ভেয়ারের প্রধান সার্ভেয়ার ও ম্যানেজিং পার্টনার মো. শাহজাহান আলী, বেসিক ব্যাংক শান্তিনগর শাখার সাবেক উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন, মহাব্যবস্থাপক মো. আলী ওরফে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, এসডি সার্ভে ফার্মের ম্যানেজিং পার্টনার ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সাজেদুর রহমান ও ব্যাংকটির সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সভাপতি (ক্রেডিট কমিটি) শেখ মঞ্জুর মোর্শেদ।
এফএইচ/জেডএ/এমএস
Advertisement