বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে পূর্বঘোষিত সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা আর কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে।
Advertisement
জুমার নামাজের পর থেকেই মূলত নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনের সড়কে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিতে থাকেন। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশস্থলে আসছেন। বিকেল ৩ টায় সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
গত ১৫ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেদিন তিনি বলেছিলেন, দেশনেত্রীকে চিকিৎসা ও মুক্তি না দেয়া এবং তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করার প্রতিবাদে শুক্রবার (২০ জুলাই) ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা ও উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। ঢাকায় বেলা ৩টায় নয়াপল্টনে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ আহ্বান করছি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে দলের পক্ষ থেকে এক ক্ষুদে বার্তায় আজকের এই সমাবেশ পালনের কথা আবারও জানানো হয়। ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়, ‘শুক্রবার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’
Advertisement
এই সমাবেশ নিয়ে পুলিশের মৌখিক অনুমতি পাওয়ার কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমরা পুলিশের মৌখিক অনুমতি পেয়েছি। সব প্রস্তুতি আমরা আগে থেকে নিয়ে রেখেছি। সব অঙ্গসংগঠনেরও অনুরূপ প্রস্তুতি আছে।
সমাবেশের অনুমতি নিতে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ। তবে তারা ডিএমপি কমিশনারের সাক্ষাৎ পাননি।
আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, সোয়া ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কমিশনারের সাক্ষাৎ মেলেনি। তিনি বিভিন্ন মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। পরে আমাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিলে সেদিনই তিনি কারাবন্দী হন। তার মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।
Advertisement
কেএইচ/জেডএ/পিআর