তবে কি ইউরোপই নয় শুধু, বিশ্বসেরা ক্লাবে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাস! আপাতত যে খবর বেরিয়েছে, তাতে তেমনই মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ১২৫ মিলিয়ন ইউরোয় রিয়াল মাদ্রিদ থেকে বিশ্বসেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে উড়িয়ে নিয়েছে জুভরা। এবার শোনা যাচ্ছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে জুভেন্টাসে গিয়ে জুটি বাঁধতে পারেন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার পল পগবাও।
Advertisement
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ হোসে মরিনহোর ট্যাকটিসের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছেন না পগবা। যে কারণে বিশ্বকাপের আগেও তুমুল সমালোচনার শিকার হয়েছেন ফরাসি এই ফুটবলার। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ে ফ্রান্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পর সব সমালোচনা উল্টো এখন ম্যানইউ কোচ হোসে মরিনহোর দিকে। শেষ পর্যন্ত সেই সমালোচনার তীর এখন হোসে মরিনহোর দিকে। পগবা যদি জুভেন্তাসে পাড়িই জমান, তাহলে ম্যানইউতে যে তিনি একটু বেকায়দায় রয়েছেন, সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত মৌসুমের দ্বিতীয় পর্বে ম্যানইউর কোচ হোসে মরিনহোর সঙ্গে পগবার সম্পর্ক বেশ খারাপ হয়ে যায়। তখন বলা হয়েছিল, সম্পর্ক খারাপ হওয়ার জন্যই তাকে নিয়মিত একাদশে সুযোগ দেননি মোরিনহো। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক যা নিয়ে নিজের বিরক্তিও গোপন করেননি।
পগবার এই মুহূর্তে ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার এটাই প্রধান কারণ বলে দাবি করা হচ্ছে। রাশিয়ায় বিশ্বকাপ হাতে নিয়েও তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কিন্তু কাপটা নিয়ে ইংল্যান্ডে যাচ্ছি না।’ তার এই বক্তব্যের নানা রকম মানে করা হয়েছিল। অনেকে বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের ক্লাবে ফিরবেন না বলেই পগবা এ রকম কথা বলছেন।
Advertisement
২৫ বছর বয়সী পগবাকে ম্যানইউ নতুন করে সই করায় ২০১৬ সালের অগস্ট মাসে। তখন ফ্রান্সের এই ফুটবলার চুক্তিমূল্য হিসেবে পেয়েছিলেন প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সে সময় যা একটা রেকর্ড ছিল। পরে অবশ্য তার চেয়েও বেশি মূল্যে নেইমার দ্য সিলভা সান্তোস জুনিয়রকে প্যারিস সেন্ট জার্মেই কিনে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয়।
তবে ইতালীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, এবার পগবাকে ফেরাতেও বিপুল খরচ করতে পারে জুভেন্টাস। ফ্রান্স জাতীয় দলে পোগবার সতীর্থ ব্লাইজ মাতুইদি নাকি ম্যান ইউ’র এক কর্তাকে বলে দেন, ‘এখন আর পলের কাছে এসে আপনাদের লাভ নেই। পরে কখনও ওর কাছে আসার কথা ভাববেন।’
ইংলিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য সানের দাবি, পগবাকে ফেরাতে তার পুরনো ক্লাব জুভেন্তান অন্তত ১৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত দিতে রাজি। শুধু তাই নয়, রোনালদোর সঙ্গে জুটি বাধিয়ে বিশ্বসেরা ক্লাবে পরিণত হওয়ার এই সুযোগ হেলায় হারাতে চায় না জুভরা। পগবাও তার পুরনো সতীর্থ পাওলো দিবালা, আন্দ্রে বারজাগলি এবং জিওর্জিও কিয়েল্লিনির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
এমনিতে জুভেন্টাসের কোচ অ্যালেগ্রিও কিন্তু পগবার অসম্ভব ভক্ত। তিনিও চান তার প্রিয় ফুটবলারকে আবার দলে পেতে। জুভেন্টাস কোচ বলেছেন, ‘পগবা একজন অসাধারণ প্রতিভা। এ ধরনের প্রতিভা সচরাচর দেখা যায় না। তাই ও চলে যাওয়ার সময় আমার খুবই খারাপ লেগেছিল; কিন্তু আমি বিশেষ কিছুই করতে পারিনি। আমার ক্লাবের লোকেরা যখন বলল, কত খরচ করে ম্যানইউ ওকে নিচ্ছে, তখনই বুঝে গেলাম, নিষেধ করেও কোনও লাভ নেই।’
Advertisement
পগবা নিজে অবশ্য তার তুরিনে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে এখন পর্যন্ত একটি কথাও বলেননি এবং ম্যানইউয়ের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুরো ব্যাপারটাই গুজব।
আইএইচএস/আরআইপি