বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলা ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত থেকে অন্য আদালতে বদলি করার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
মওদুদ আহমদের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে মওদুদ আহমদ নিজে শুনানি করেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী সূত্র বলেছে, গত বছরের ২১ জুন অভিযোগ গঠনের পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলাটি বিচারাধীন ছিল। তবে মওদুদ আহমদের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৫ জুলাই হাইকোর্ট এক আদেশে মামলাটি ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
Advertisement
এরপর ওখানে মামলার কার্যক্রম চলছিল। এ অবস্থায় মামলাটি অন্য আদালতে বদলির নির্দেশনা চেয়ে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে আবেদন করেন মওদুদ আহমদ।
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটি ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে বিচারাধীন ছিল। তবে তিনি ইতোমধ্যে হাইকোর্টের বিচারপতি হয়েছেন এবং বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তাই মামলাটি অন্য আদালতে বদলি চেয়ে আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট মামলাটি ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত থেকে এখতিয়ারসম্পন্ন অন্য বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন। তবে কোন আদালতে বিচারের জন্য মামলাটি যাচ্ছে, তা হাইকোর্টের আদেশ পেলে জানা যাবে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় গত বছরের ২১ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ। এ আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মামলাটি অন্য আদালতে বদলির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন মওদুদ আহমদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জুলাই হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন।
Advertisement
মামলা সূত্রে জানা যায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
এফএইচ/আরএস/পিআর