জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিলের শুনানি অব্যাহত রয়েছে। হাইকোর্টে সোমবার আপিলের তৃতীয় দিনের মতো শুনানি হয়।
Advertisement
শুনানিতে আজ খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ২০০৬ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মাইনাস টু থিওরি বাস্তবায়ন করার জন্য এ মামলার সূচনা হয়।
তিনি বলেন, দেশের শীর্ষ দুই নেত্রীকে মাইনাস করতে বিভিন্ন মামলা সাজানো হয়। এই মামলার বীজ সেই সময় বপণ করা হয়। ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে সব আমরা জানি।
মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী হারুন অর রশিদের জেরার পর খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী আবদুর রেজাক খান আদালতে বলেন, তিনি একমাত্র সাক্ষী জবানবন্দিতে খালেদা জিয়া সম্পর্কে কিছু বক্তব্য রেখেছেন। জেরাতে এসে তিনি স্বীকার করেছেন, বেগম জিয়া যে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তা এমন কিছু নেই।
Advertisement
আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অ্যাকাউন্ট খোলেননি, অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেননি ও অর্থ বণ্টন করেননি। প্রথম সাক্ষী জবানবন্দিতে যা বলেছেন, জেরায় তা অপ্রমাণিত হয়েছে। তার সাক্ষী সাক্ষ্যপ্রমাণ বহির্ভূত। এই সাক্ষীর পর মামলার প্রথম অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও ৩২ নং সাক্ষী নুর আহমেদের বক্তব্য পড়ব। তিনি বলেছেন, বেগম জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
‘প্রথম সাক্ষীর অনুসন্ধানে যে বিষয়বস্তু ছিল সেখানেও খালেদা জিয়া ছিলেন না। এই মামলার প্রথম সাক্ষীকে বিশ্বাস করলে ৩২নং সাক্ষী নেই। আর ৩২নং সাক্ষীকে বিশ্বাস করলে প্রথম সাক্ষী নেই। এই মামলায় এ দুজন ছাড়া আর কোনো সাক্ষী নেই। এ মামলার নথিপত্র সিজন করা হয়েছে’,- বলেন আইনজীবী।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষীর জেরা পড়ার সময় আদালতে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়ার এই দুই আইনজীবী।
খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি আজ সোমবার তৃতীয় দিনের মতো বেলা ২টার দিকে শুরু হয়ে চলে সোয়া ৪টা পর্যন্ত। এরপর আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
Advertisement
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা সংশ্লিষ্ট ৮ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নতিপত্রের সংযুক্তি ও সম্পূরক পেপারবুক চেয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে একটি আবেদন আংশিক মঞ্জুর করা হয়েছে। আগামী রোববারের মধ্যে যেসব নথী নেই তা সংযুক্ত করে সম্পুরক পেপারবুক করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এফএইচ/জেডএ/এমএস