সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৫ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। তবে উভয় বাজারে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
Advertisement
আগের কার্যদিবসের মতো এদিনও লেনদেনে অংশ নেয়া সিংহভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে। ব্যাংক খাতের ২৭টি প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ার দামের পতন হয়েছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র দুটির। ব্যাংক খাতের এ নেতিবাচক প্রভাব অন্য খাতের ওপরও পড়েছে। ফলে পতনের তালিকায় স্থান হয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
এদিন ডিএসইতে সব খাত মিলে ১০৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২০৭ প্রতিষ্ঠান। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৫ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
এদিকে মূল্য সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও লেনদেনে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৫২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১০২ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বিবিএস কেবলসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের ৩৪ কোটি সাত লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৩ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসকে ট্রিমস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ডরিন পাওয়ার, সিঙ্গার বিডি, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বসুন্ধরা পেপার, এসপিসিএল, কেপিসিএল এবং সায়হাম টেক্সটাইল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৩৮ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৯৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৪টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির।
Advertisement
এমএএস/এএইচ/জেআইএম