নওগাঁয় আটদিন ব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছে।শনিবার বেলা ১১টা থেকে শহরের শ্রী শ্রী বুড়া কালিমাতা মন্দির কমিটির আয়োজনে এ রথযাত্রা শুরু হয়। বিকেল ৫টায় রথযাত্রার দ্বিতীয় টান দেয়া হবে।
Advertisement
আট দিনব্যাপী এ উৎসব উল্টো রথ টানার মধ্যে দিয়ে আগামী শনিবার (২১ জুলাই) বিকেলে শেষ হবে। সকালে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় রথযাত্রার অনুষ্ঠান মালা।
জানা গেছে, প্রায় শত বছর ধরে শহরের কালিতলা এলাকায় কালিমাতা মন্দির কমিটির আয়োজনে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
এদিকে ফরিদপুরেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘রথযাত্রা’ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে ফরিদপুর শ্রী অঙ্গন থেকে রথ যাত্রা শুরু হয়ে শহরের ব্রাহ্মণকান্দা আঙিনায় গিয়ে শেষ হয়। আগামী ২১ জুলাই ফিরতি রথ উৎসবের মাধ্যমে এ রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
Advertisement
কথিত আছে- রথের সময় জগন্নাথ বা কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া হয় নীলাচল থেকে সুন্দরাচলে। সেখানে কৃষ্ণ ব্রজবাসীদের সঙ্গে আটদিন ছিলেন। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু ভাবতেন, কৃষ্ণ কতদিন ধরে তোমাকে দেখতে চেয়েছি। আর এখন তোমাকে দর্শন করছি। রথ টানার সময় বাঁ পাশে একদল, ডান পাশে একদল, সামনে একদল এবং পেছনের দিকে একদল, আর শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু মাঝখানে থাকতেন।
রথের রশি ছুঁয়ে রথ টানা শুধু নয়, বেশির ভাগ মানুষ রথের রশি যতটুকু পারে ছিঁড়েও নেন। টুকরো টুকরো রথের রশির সুতো মাদুলি করে ছোট শিশুদের হাতে ও গলায় পরিয়ে দেন। বড়রাও পরেন। মানুষের বিশ্বাস এই মাদুলি সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথ দেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগত হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছে জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীব রূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমা রেখে রথযাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এফএ/আরআইপি
Advertisement