খেলাধুলা

‘এখন আমি মরতেও রাজি’

বিশ্বকাপের ফাইনাল। একজন ফুটবলারের জীবনের লালিত স্বপ্ন এই ফাইনাল খেলা। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারদের সামনে। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা।

Advertisement

টানা দুটি নকআউট রাউন্ডের টাইব্রেকারে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলকে টেনে এনেছেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক সুবাসিচ। সেমিতেও ইংলিশদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে বাকরুদ্ধ সুবাসিচ। এখন তিনি মরতেও রাজি আছেন বলে জানান এই মোনাকো গোলরক্ষক।

ফ্রান্সের বিপক্ষে রবিবার মস্কোতে ফাইনাল খেলতে নামছে ক্রোয়েশিয়া। সেই ম্যাচ নামার আগে বৃহস্পতিবার ক্রোয়েট ফুটবল ফেডারেশনকে দেওয়া এক বার্তায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুবাসিচ বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল, রাশিয়ায় এসে কিছু করতে পারব আমরা। আমাদের সকল স্টাফদের ধন্যবাদ যারা আমাদের জন্য স্বত্ব ত্যাগ করেছেন। সমর্থকদেরও ধন্যবাদ যারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমাদের খেলা দেখতে এসেছেন।’

ক্লাব পর্যায়ে ফ্রেঞ্চ ক্লাব মোনাকোতে খেলে থাকেন সুবাসিচ। তাই ফ্রেঞ্চ ফুটবলারদের মনোভাব কিছুটা ভালো জানেন সুবাসিচ। তিনি বলেন, ‘আমি ফ্রেঞ্চ খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলে প্রত্যেকদিনই তাদের কথা শুনি। এখন তাদেরকে ফাইনালে দেখবে। আমি ক্লাবকে বলেছি, আমরা দেখবো কীভাবে এই ম্যাচটি আমাকে নাড়া দেয়।’

Advertisement

ইংল্যান্ড ম্যাচ নিয়েও কথা বলেন সুবাসিচ। ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা দারুণ খেলেছি। আমরা ’৯৮ এর ক্রোয়েশিয়ার সোনালি প্রজন্মকেও টপকে গেছি। এখন আমরা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলব। আমি এখন মরতেও রাজি আছি।’

আরআর/পিআর