ইসলাম ধর্মের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হজ। এবার হজের প্রথম ফ্লাইট শনিবার (১৪ জুলাই)। এ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে এক সাথে জুমার নামাজ আদায় করেছেন হজ ক্যাম্পে উপস্থিত হাজারও হজযাত্রী। হজযাত্রীদের সাথে নামাজে অংশ নেন স্থানীয় মুসল্লিরাও। নামাজ শেষে তারা দু'হাত তুলে হজ কবুলের ও গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করেন।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে হজ ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়, হাজীদের সাথে জুমার নামাজ পড়তে স্থানীয় মুসুল্লিদের ঢল। টঙ্গী, গাজীপুর ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে হজ ক্যাম্পে আসেন সাধারণ মুসল্লিরা। দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনও।
উদ্দেশ্য একটাই- হজব্রত পালনে নবীর দেশে যেসব হাজী যাচ্ছেন, তাদের সাথে জুমার নামাজ আদায়। মুসল্লিদের সাথে হাজীদের দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন। হাজীদের দোয়ায় বদলে যাবে জীবন।
জুমার নামাজ শেষে হাজীদের সাথে কুশলাদি বিনিময় ও দোয়া চাইতে দেখা যায় মুসুল্লি ও আত্মীয়-স্বজনদের।
Advertisement
হজ ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বিমানবন্দরে উদ্বোধনী ফ্লাইটের হজযাত্রীদের বিদায় জানাবেন।
হজ ক্যাম্পের আইটি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, শুক্রবার পর্যন্ত ৮টি ফ্লাইটের হজযাত্রীরা রিপোর্ট করেছেন। সে হিসাবে হজ ক্যাম্পে উপস্থিত প্রায় তিন হাজার হজযাত্রী। তারা এক সাথে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন।
মোখলেছুর রহমান নামে টঙ্গীর এক মুসুল্লি ছেলেকে নিয়ে হজ ক্যাম্পে নামাজ আদায় করতে এসেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ জুমার নামাজ হজ ক্যাম্পে আদায় করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। কারণ, আজ এখানে অসংখ্য আল্লাহর ঘরের মেহমান। তারা আল্লাহর ঘর তাওয়াফের উদ্দেশ্যে সৌদি যাচ্ছেন। তাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। হজযাত্রীদের সাথে নামাজ পড়ে তাই সৌভাগ্যবান মনে করছি।’
লক্ষ্মীপুর জেলার হজযাত্রী ওয়াহেদুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ ও জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মোহাম্মাদপুর থেকে এসেছেন আত্মীয় আহমাদ হোসাইন। তিনি বলেন, ‘আত্মীয়ের হজ ফ্লাইট কাল সকালেই। তার সাথে দেখা করা ও নামাজ আদায় করতেই মূলত এখানে আসা। তিনি আমার ও পরিবারের জন্য দোয়া করলে তা পূরণ হবে বলে বিশ্বাস করি।’
Advertisement
হজ ক্যাম্পের আইটি বিভাগের ইনচার্জ কাজী মো. মুরাদে আলম জাগো নিউজকে জানান, এবার বাংলাদেশ থেকে এ বছর প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। এ বছর বিমানে যাবেন মোট ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজযাত্রী, এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭ হাজার ১৯৮ জন। অবশিষ্ট ৫৬ হাজার ৪০১ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। শুক্রবার পর্যন্ত ৮টি ফ্লাইটের মোট ৩ হাজার ২০০ জন হজযাত্রী রিপোর্ট করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শনিবার থেকে হজ ফ্লাইট শুরু। এর মধ্যে আজ শুক্রবার হওয়ায় হজ ক্যাম্পে মুসুল্লির সংখ্যা বেশি। জুমার নামাজ পড়তে মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল। নামাজ ও মোনাজাত শেষে স্থানীয়রা মুসুল্লিরা চলে গেছেন।’ জেইউ/এসআর/পিআর