বর্ষা বিষয়টাই খামখেয়ালি। বৃষ্টি ঝরাতে সক্ষম- এমন মেঘ আকাশে জমলে বেশিভাগক্ষেত্রেই বৃষ্টি শুরু হয়, কিন্তু কখনও কখনও এমন হয় যে আকাশ মেঘে টইটম্বুর, অথচ বৃষ্টি হতে পারছে না। এখন এক্ষেত্রে কৃত্রিম বৃষ্টি কি কাজে দিতে পারে? বিষয়টা বিতর্কিত এবং এটা এখনও বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি।
Advertisement
ভারতের আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রণালয় বর্তমানে এই কৃত্রিম বৃষ্টিপাত নিয়ে বড় ধরনের গবেষণা চালাচ্ছে। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ভারতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গবেষকার দেখছেন ভারতের খরা-কবলিত মার্থবাদা ও বিধর্ভার আকাশ আর্দ্রতায় ভরপুর থাকলেও ওই মেঘ থেকে বৃষ্টি হতে পারে না। কৃত্রিম বৃষ্টিপাত সেখানে কাজের হতে পারে। কোন পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো ঠিক হবে তা নিয়ে এখনও একমত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
এর জন্য সম্প্রতি দুটি বিশেষ বিমান ভাড়া করে আকাশে নেমে গেছেন বিজ্ঞানীরা। দু’টি বিমানের একটি থেকে মেঘে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ক্লোরাইডের মতো রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে। আরকেটি বিমানতো উড়ন্ত একটা বিজ্ঞানাগার। সেটা থেকে মূলত পর্যবেক্ষণের কাজ চালানো হচ্ছে।
Advertisement
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অনুকূল পরিস্থিতিতে একবার যদি ঠিক মেঘে রাসায়নিক মেশানো যায়, তবে ১৫ মিনিটে মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়। কিন্তু ওই সঠিক মেঘ চিনতে পারাটাই কঠিনন একটা কাজ।
এই কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের পেছনে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্র প্রদেশ কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু ফল সবসময় আশানুরুপ হয়নি।
গবেষকদের একজন বলছেন, যে প্রক্রিয়াতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানা হয় ভারতীয় আবহাওয়াতে তা কার্যকর কি না- এই পরীক্ষা থেকে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
এনডিটিভি।
Advertisement
এনএফ/এমএস