জাতীয়

নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণসংহতি আন্দোলন

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত পুনর্নিরীক্ষার দাবিতে মিছিল নিয়ে স্মারকলিপি পেশ করতে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণসংহতি আন্দোলন। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্নিরীক্ষণের দাবিতে এক সমাবেশ শেষে দুপুর একটার দিকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে যাত্রা করেন তারা।

Advertisement

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আইন ও শর্তগুলো মেনেই গণসংহতি আন্দোলন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছিল। কিন্তু কোনো কারণ না দেখিয়েই, মাঠ পর্যায়ে কোনো জরিপ না করে এবং কী কী ক্রটির কারণে নিবন্ধন দেয়া হচ্ছে না তাও জানানো হয়নি। অথচ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে বিকশিত হবে তার ব্যবস্থা করা।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সুষ্ঠ নির্বাচন ব্যবস্থা তৈরি হয়নি। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কিন্তু তাদের যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা তারা প্রয়োগ করতে পারেন না। সরকারি দলের জন্য এই নির্বাচন কমিশন অনুকূলে থাকলেও অন্য দলের জন্য ইসি অনুকুলে নয়। উন্নয়ন আর মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে বর্তমানে দেশ কোন পরিস্থিতিতে চলছে তা সবাই জানে। প্রতিবাদ করার জন্য কাউকে রাস্তায় নামতে দেয়া হয় না। প্রতিবাদ বা আন্দোলনে যদি কেউ রাস্তায় নামে, তাহলে বর্তমান সরকার ভয় পায়।’

নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া আইনে আছে যে, পরপর দুই বার নির্বাচনে অংশ না নিলে একটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। এটা এই জন্য করা হয়েছে, যেন দলগুলো তাদের নিবন্ধন বাতিল না হয়। সে কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরে নিবন্ধনের জন্য সুযোগ দিয়েছে মাত্র একবার আর নিবন্ধনের আইনগুলোও খুবই অস্পষ্ট। তাই রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্নিরীক্ষার দাবিতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আপনাদের দায়িত্ব সহজ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো যেন নিবন্ধন পায় এবং সেইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো আরও বিকাশিত হয় তার ব্যবস্থা করা।’

Advertisement

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, ফিরোজ আহমেদ,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তরিকুল সুজন, তাসলিমা আক্তার প্রমুখ।

এএস/এসআর/পিআর