জাতীয়

সুদানে নিহত নৌ কর্মকর্তার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

দক্ষিণ সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশরাফ সিদ্দিকীর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সোমবার ঢাকা সেনানিবাসস্থ চপার্সডেন-এ তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

জানাজা শেষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানগণ আশরাফ সিদ্দিকীর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন পদবীর সামরিক-বেসামরিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশরাফের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নৌবাহিনী প্রধান এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে নৌপ্রধান বলেন, শহীদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশরাফ তার কর্মজীবনে যে অনন্য অবদান রেখেছেন, তা সকল নৌ সদস্যদের জন্য অনুকরণীয় ও স্মরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার এ মহান আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নৌবাহিনী তথা বাংলাদেশের জন্য মর্যাদা ও গৌরব বয়ে এনেছে।

Advertisement

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশরাফ সিদ্দিকীর মরদেহ বনানী সামরিক কবরস্থানে নেয়া হলে হাজারও সহকর্মী অশ্রুসজল চোখে জাতীয় এ বীরকে শেষ বিদায় জানান এবং শহীদের সম্মানে ১২ বার ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকার বনানীস্থ সামরিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

দাফন শেষে নিহত আশরাফ সিদ্দিকীর স্ত্রীর হাতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও জাতিসংঘের পতাকা, ক্যাপ, সম্মান সূচক সোর্ড ও মেডেল তুলে দেন নৌপ্রধান।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশরাফ সিদ্দিকী দক্ষিণ সুদানের জুবা শহরে আনমিস সদর দফতরে মিলিটারি লিঁয়াজো অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৬ জুন শান্তিরক্ষা মিশনের একটি গাড়ি বহরের নিরাপত্তা প্রদানের দ্বায়িত্ব পালনের উদ্দেশে নেপালীজ ফোর্স প্রটেকশন টিমের সাথে ইয়েই শহর হতে লাসু শহরের উদ্দেশে গমন করেন। ক্যাম্প সাইট হতে ১০ কিলোমিটার দূরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের দ্বারা পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে লাসু হতে ইয়েই এয়ারপোর্টে নিয়ে আসার পথে মারা যান।

আরএস/আরআইপি

Advertisement