ফেবারিটদের পতনের বিশ্বকাপে পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দ্বিতীয় রাউন্ডেই কঠিন লড়াইয়ের সামনে পড়ে মেক্সিকর সঙ্গে। ম্যাচের শুরুতেই শক্ত রক্ষণভাগ নিয়ে একাদশ সাজায় মেক্সিকো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলকে রুখতে পারেনি মেক্সিকো। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নেইমারে যাদুতে মুখ থুবড়ে পরে মেক্সিকান রক্ষণভাগ। ম্যাচে নিজে একটি গোল করার পাশাপাশি ফিরমিনোর গোলেও অবদান রাখেন নেইমার। মেক্সিকোকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টারে ওঠলো ব্রাজিল।
Advertisement
পুরো ম্যাচেই ব্রাজিলের সঙ্গে সমান তালে লড়েছে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে জার্মানিকে হারানো মেক্সিকো। ম্যাচের দুই মিনিটে আক্রমণ করে বসে মেক্সিকো। ডান পাশ থেকে ডি বক্সের বাইরে লোজানোর শট মিরান্ডার গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ৫ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মোট গোলমুখে শট নেয় ব্রাজিল। ২০ গজ দূর থেকে নেইমারের নেওয়া দুর্দান্ত শট রুখে দেন ওচোয়া।
মাঝে পুরো আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে মেক্সিকো। তাদের মুহুর্মুহু কাউন্টার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে ব্রাজিলের রক্ষণভাগ। বারবার ডি বক্সের ভেতর বল পেলেও নিখুঁত ফিনিশিং এবং যোগ্য স্ট্রাইকারের অভাবে গোল বঞ্চিত হতে থাকে মেক্সিকানরা।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর দুজনকে কাঁটিয়ে জোরালো শট নেন নেইমার কিন্তু ওচোয়া আরো একবার বাধা হয়ে দাঁড়ান ব্রাজিলের সামনে। এর ঠিক দু’মিনিট পর কৌতিনহোর দূরপাল্লার শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
Advertisement
৩২ মিনিটে কৌতিনহোর শটকেও রুখে দেন ২০১৪ সালে ব্রাজিলকে একাই রুখে দেওয়া ওচোয়া। আস্তে আস্তে ম্যাচে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে থাকে ব্রাজিল। ৩৯ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে নেইমারকে ফাউল করে রেফারি ফ্রি-কিকের সিদ্ধান্ত দেন। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া নেইমারের ফ্রি-কিকটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হাপ ছেড়ে বাঁচে মেক্সিকো। ম্যাচে আর কোন আক্রমণ না হলে গোলশূন্য থেকেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণের ধার বাড়ায় ব্রাজিল। ৫১ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে যেতে থাকেন নেইমার। ডি বক্সের সামান্য বাইরে উইলিয়ানকে দুর্দান্ত ব্যাক পাস দেন তিনি। উইলিয়ান বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে নেইমারকে পাস দিলে দুর্দান্ত গোল করেন নেইমার। বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় গোল।
৫৬ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু এবার তার শটটি গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৫৯ মিনিটে ব্রাজিলের এগিয়ে যাওয়া রুখে দেন ওচোয়া। ডি বক্সের বাইরে থেকে পাউলিনহোর শট দুর্দান্ত ভঙ্গিমায় সেভ করেন পুরো ম্যাচে অসাধারণ খেলা ওচোয়া।
৬২ মিনিটে কাউন্টার এটাক থেকে কার্লস ভিলার শট সোজা এলিসনের তালুবন্দী হয়। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ কৌতিনহোকে তুলে ফিরমিনোকে নামান কোচ। ৮৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দারুণ কাউন্টার এটাকে বল একাই টেনে নিয়ে এগুতে থাকেন নেইমার। ডি বক্সের ভেতর শট নিলেও তা ওচোয়ার পায়ে লেগে প্রতিহত হলেও রিবাউন্ড থেকে ফিরমিনো গোল করে ব্রাজিলকে ২-০ ব্যবধানের জয় এনে দেন। রাতে বেলজিয়াম ও জাপানের মধ্যকার জয়ী দলের সঙ্গেই কোয়ার্টারে খেলবে ব্রাজিল।
Advertisement
আরআর/আরআইপি