সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ করতে জড়ো হলে তাদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
Advertisement
হামলাকারীরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বেশ কিছু কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। হামলার এক পর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানকে তুলে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা। তবে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান সানি।
ঢাবি মহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল তারা পতাকা মিছিল করবে। আর পতাকার লাঠি হামলার কাজে ব্যবহার করবে। তাই আমরা প্রতিহত করেছি।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী লুৎফুন্নাহার লিনা বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করেছে। আমাদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে নারী কর্মীদের উপরও হামলা করা হয়েছে।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে চাই, তিনিও একজন নারী, আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে কেন হামলা করা হলো? কেন নারী কর্মীদের ওপর হামলা করা হলো?’
আন্দোলনকারীরা বলেন, হামলার ঘটনায় কোটা আন্দোলনকারীদের চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানকে তুলে নেয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয়কারী মো. রাশেদ খানকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। রাজধানী শাহবাগ থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ছাত্রলীগের এক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় রোববার (১ জুলাই) থেকে আবারও আন্দোলনের ডাক দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এর আগে শনিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মারধরের শিকার হন।
Advertisement
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্হাগারের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরসহ অন্তত তিনজন আহত হন। এমএইচ/আরএস/পিআর