খেলাধুলা

পেনাল্টি বিতর্ক : পিকেকে দুষছেন তার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুও

একটি ভুলই শেষ করে দিল স্পেনের বিশ্বকাপ। রাশিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলর লড়াইয়ে ১-০তে এগিয়েই ছিল ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের এক হ্যান্ডবলে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করে দেয় স্বাগতিকরা। সেই গোলটিই শেষ পর্যন্ত জয়-পরাজয়ের বড় নির্ধারক হয়ে দাঁড়ায়। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, যাতে নাটকীয়ভাবে হেরে যায় স্পেন।

Advertisement

ম্যাচের ৪০তম মিনিটেই পেনাল্টি আদায় করে নেয় রাশিয়া। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে আর্তেম জিউভা হেড করেন। সেই হেডই হাতে লেগে যায় জেরার্ড পিকের। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন।

জিউভা যেদিক থেকে হেড নিয়েছিলেন, পিকের পিঠ ছিল সেদিকে। দেখে মনে হয়েছে, বলটা তার হাতে অনিচ্ছাকৃতভাবেই লেগেছে। বিবিসির স্বনামধন্য স্পোর্টস প্রেজেন্টার গ্যারি লিনেকারও এই ঘটনায় বার্সা তারকার দোষ দেখছেন না। তিনি বলেন, 'পিকে ঠিকই বলছিলেন। যখন আপনি লাফ দেবেন, তখন আপনার হাত উঠবেই।'

তবে যাদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার কথা, তাদের কাছ থেকেই সেটা পাচ্ছেন না পিকে। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সেস ফ্যাব্রিগাস বলেন, 'হ্যাঁ, সে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একজন। তবে আমি এই জায়গায় তার পক্ষ নিতে পারছি না।'

Advertisement

একই রকম ভাষ্য সাবেক ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার রিও ফার্দিনান্দের। ওল্ড ট্রাফোর্ডে এক সময় পিকের সঙ্গে খেলা এই ডিফেন্ডার মনে করছেন, তার বন্ধু রেফারিকে বোকা বানাতে চেয়েছিলেন, 'সে আমার বন্ধু। তবে সে মিথ্যা বলেছে।'

পিকেকে ধুয়ে দিয়েছেন বিসিবির বিশ্লেষক কেভিন কিলবানিও। তিনি বলেন, 'এটা হ্যান্ডবলই ছিল, পিকে জানতো সে কি করছে। যখন আপনি বাতাসে আপনার হাতটা ভাসিয়ে রাখবেন, তখন এই ঝুঁকিটা নিয়েই সেটা করবেন। জিউভার হেডটা টার্গেটে ছিল, এটা পেনাল্টি।'

এমএমআর/পিআর

Advertisement