১১ বছর বয়সী কনের বরের বয়স ৪১ বছর। থাইল্যান্ডের ওই শিশুর সঙ্গে মালয় ব্যক্তির এ অসম বিয়ে নিয়ে চলছে চরম বিতর্ক। সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মুসলিম অধ্যুষিত দেশটি।
Advertisement
ধর্মীয় আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মালয়েশিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীরা বিয়ে করতে পারেন। তবে দেশটির নারী ও পরিবারবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, গত মাসে যে অসম বিয়ের ঘটনা ঘটেছে তাতে মালয়েশিয়ার ধর্মীয় আদালতের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি।
মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইল রোববার স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা ওই মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিল এবং তার মায়ের সঙ্গে দেখা করেছে। আমরা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আরও অধিকতর প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি এটা প্রমাণিত হয় যে, আদালতের অনুমতি না নিয়েই এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে, তাহলে বরের ৬ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা শিশু বিয়ে সংক্রান্ত আইনের সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
Advertisement
দেশটির আইনজীবীরা বলছেন, মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৬ হাজার বিবাহিত বালিকার বয়স ১৫ বছরের নিচে। সাঈদ আজমী আলহাবশী নামের এক শিশু অধিকার কর্মী বলেন, ‘১১ বছর বয়সী শিশুকে বিয়ে করা শিশু শিকার ও যৌন নির্যাতনের শামিল।’ মালয়েশিয়ায় সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে অনুমোদিত।
আল হাবশী আরও বলেন, ওই ব্যক্তি এর আগে আরও দু’জন বালিকাকে বিয়ে করেছেন যাদের বাবা দরিদ্র রাবার চাষী।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ। ইউনিসেফের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মেরিয়ানি ক্লার্ক-হ্যাটিং বলেন, ‘এ ঘটনা পীড়াদায়ক ও অগ্রহণযোগ্য।’ শিশু বিয়ে বন্ধ করতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
এসআর/টিটিএন/পিআর
Advertisement