আল্লাহ তাআলা হলেন ধৈর্যের আধার। মানুষের অন্যায় আচরণেও তিনি তাদেরকে রিজিক দান করেন, অসুস্থতা থেকে সুস্থ রাখেন। দুনিয়াতে চলার পথকে সহজ করে দেন। কাজেই মহান প্রভুর ধৈর্যশীলতার কোনো তুলনাই হয় না।
Advertisement
যা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কষ্ট আসবে এমন কথা শোনার ক্ষেত্রে আল্লাহর চেয়ে অধিক ধৈর্যধারণকারী আর কেউ নেই। মানুষ তার জন্য সন্তান-সন্তুতি সাব্যস্ত করে। (এসব কথা শোনার পরও আল্লাহ ধৈর্যধারণ করেন এবং) তিনি তাদেরকে নিরাপদ রাখেন এবং রিজিক দান করেন। (বুখারি ও মুসলিম)
আরও পড়ুন > যে কথার কারণে জান্নাতে যাবে মুসলিম
Advertisement
হাদিসে আল্লাহর সন্তান-সন্তুতি সাব্যস্তকারীর প্রতি তার ধৈর্যধারণের প্রসঙ্গ ওঠে এসেছে। এতে তিনি দুনিয়ার মানুষকে সব কাজে ধৈর্য ও সহমর্মিতা অবলম্বনের উত্তম শিক্ষা দিয়েছেন।
যে সব মানুষ সুখ-দুঃখ, আনন্দ-ব্যাথা, হাসি-কান্না, আরাম-ব্যারাম, বিপদ-মুসিবতে মহান আল্লাহর অনন্য গুণ ধৈর্য অবলম্বন করবে; আল্লাহ তাআলা ওই সব বান্দাকে নিরাপত্তা ও নাজাত দান করবেন।
কারণ আল্লাহ তাআলা ধৈর্যের স্রষ্টা ও মহাধৈর্যের অধিকারী। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা মানুষের সীমাহীন অপরাধের পরও প্রতিশোধ গ্রহণ না করে তাদেরকে ক্ষমা করেন। রিজিক দান করেন। নিয়ামত দান করেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের কঠিন সময়ে নিরাপত্তা ও সহমর্মিতা লাভে দুনিয়া ধৈর্য এবং সহমর্মিতা অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। মুমিন বান্দাকে ধৈর্যের গুণ দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজে বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/পিআর