গোপালগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ কোরিয়া (জিএএসকে)-এর উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সউল-এর গাংদং গ্লোবাল সেন্টারে রোববার উৎসবমুখর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Advertisement
শতাধিক প্রবাসীর অংশগ্রহণে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজনে বাংলাদেশের প্রবাসীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে জিএএসকে-র সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাইন মাহমুদের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, কাউন্সিলর (কমার্স) মো. মাসুদ রানা চৌধুরী, জিএএসকে’র সভাপতি শেখ মুরাদ হোসেন সোহেল, সাধারণ সম্পাদক ডেভিড ইকরাম, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আব্দুল মতিন।
এছাড়াও গোপালগঞ্জ জেলা ও জিএএসকে’র কার্যক্রম সম্পর্কে অতিথিদের ধারণা দেয়ার লক্ষ্যে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন ড. মো. নাজমুল হুদা সোহাগ।
প্রধান অতিথি সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং গোপালগঞ্জ জেলা ও জিএএসকে’র কার্যক্রম এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সবাইকে এক ও অভিন্ন থেকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দেশ ও নিজেদের উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
Advertisement
এমন একটি মিলনমেলা আয়োজন করায় তিনি সংগঠনের নেতাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন যে এমন ঈদ পুনর্মিলন আমাদের সকল প্রবাসীদের ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করে, আমরা যেন প্রবাসে থেকেও দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারি, দেশকে আর ভালবাসতে পারি। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে এই আয়োজনে সকলের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
গোপালগঞ্জ প্রবাসী খন্দকার রুবেলের কণ্ঠে কোরআন তেলোওয়াত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে গান পরেবেশন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক শিল্পী কোরিয়া প্রবাসী ঈশিতা, রইচ চৌধুরী এবং কবিতা আবৃত্তি করেন আল-আমিন।
অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ জেলা ও বাংলাদেশ নিয়ে মনোমুগ্ধকর ভিডিও পরিবেশন করা হয়। মন মাতানো এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জিএএসকে’র সাধারণ সম্পাদক ডেভিড ইকরাম।
ঈদ পুনর্মিলনী এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিন ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) এবং এইচওসি রুহুল আমিন, জিএসকে’র উপদেষ্টা শেখ নিজামুল হক, কোরিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতারা, ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক, কোরিয়ান অতিথিসহ বাংলাদেশি প্রবাসী বিভিন্ন পেশার লোকজন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যাহ্নভোজ’র জন্য দেশি সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সকল পুরুষ, মহিলাসহ শিশুদেরকে ঈদ উপহারও প্রদান করা হয়।
এমআরএম/জেআইএম