কুমিল্লায় বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় ৮ জন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।
Advertisement
এ ছাড়া একই ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা অপর এক মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আগামীকাল, ২৫ জুন দিন ঠিক করা হয়েছে।
রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন, অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, মুরাদ রেজা। খালেদার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় উপসস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, মো. আতিকুর রহমান ও এহসানুর রহমান।
Advertisement
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার এ দুই মামলায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়ার ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
পরদিন ২৯ মে জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে, জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনের শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। ৩১ মে নির্ধারিত দিনে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন জামিন স্থগিত করা হয় এবং মামলাটি শুনানির জন্য ২৪ জুন দিন ধার্য করা হয়।
দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। যেটি গত ১৭ মে বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
তবে খালেদা জিয়াকে অন্তত আরও ছয়টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, কারামুক্তির জন্য সেগুলোতে তাকে জামিন পেতে হবে। এ মামলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি ও নড়াইলে একটি এবং বাকিগুলো ঢাকার। এসব মামলার মধ্যে কুমিল্লার এই দুটি মামলাও রয়েছে।
Advertisement
এফএইচ/এনএফ/এমএস