বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে জিততেই হবে স্পেনকে। এমন কঠিন সমীকরণকে সামনে রেখে এশিয়ার পরাশক্তি ইরানের মুখোমুখি হয় স্পেন। ২০১৪ সালের পর যে দলটি কোন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হারেনি তাদের বিপক্ষে ম্যাচটি যে সহজ হবে না সেটা ভালো করেই জানতো ইনিয়েস্তারা। ইরানের শক্ত রক্ষণভাগের মোকাবেলায় ডিয়েগো কস্তার ভাগ্যপ্রসূত এক গোলে ইরানকে ১-০ গোলে হারায় স্পেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
Advertisement
পর্তুগালের বিপক্ষে একাদশে না থাকলেও দীর্ঘদিন পর ইনজুরি কাটিয়ে স্পেন একাদশে ফিরেছেন দানি কার্ভাহাল। অন্যদিকে কোকের পরিবর্তে ম্যাচে লুকাস ভাস্কুয়েজকে নামান স্পেন কোচ হিয়েরো। কিন্তু স্প্যানিশদের এতসব পরিকল্পনা সব ভেস্তে যায় কুইরোজের কৌশলের কাছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে স্পেন। কিন্তু ইরানের ডিফেন্ডারদের করা মার্কিংয়ে গোলের তেমন কোন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ইস্কো, ইনিয়েস্তা, সিলভারা। ইরানের গোলমুখে ম্যাচের প্রথম শটটি নেন ডেভিড সিলভা তাও ২৫ মিনিটের সময়। ফ্রি কিক থেকে সিলভার শট মানব দেয়ালে লেগে সরাসরি যায় ইরানের গোলরক্ষকের হাতে।
পুরো প্রথমার্ধে ৮২ শতাংশ বল নিজেদের কাছে রেখেও ইরান ডিফেন্সে ভাঙন ধরাতে পারেনি স্পেন। প্রথমার্ধে দু’দল পেশি শক্তিরও বেশ ভালো ব্যবহার করে। ১৬বার রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজালেও কেউ হলুদ কার্ড দেখেননি। গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয় স্পেনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বেরুতে থাকে স্প্যানিশ ফুটবলাররা। ৪৯ মিনিটে ইস্কোর কর্নার থেকে পিকের ফ্লিক গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৫৪ মিনিটেই ইরানের ১০ জনের ডিফেন্স ভাঙ্গেন ডিয়েগো কস্তা। মাঝমাঠ থেকে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতর ডিয়েগো কস্তাকে পাস দিলে সেটি ইরানের রক্ষণভাগের ফুটবলার ক্লিয়ার করতে গিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে কস্তার পায়ে বল জালে জড়ালে স্বস্তির গোল পায় স্পেন। এর ফলে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচেই তিন গোল করলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কস্তা।
৬০ মিনিটে ইরানের তারেমির শট গোলবারের বাইরে চলে যায়। ৬৪ মিনিটেই গোল পেয়েছিল ইরান। এজাতোলাহি হেড থেকে গোল করলে উল্লাসে মাতে ইরান কিন্তু ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তায় নিয়ে গোলটিকে অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি। ৭০ মিনিটে আবারো এগিয়ে যেতো পারতো স্পেন কিন্তু জেরার্ড পিকের শট গোললাইন থেকে দুই ইরানিয়ান ডিফেন্ডার শুয়ে রক্ষা করেন ইরানকে।
৮৩ মিনিটে গোল শোধের একদম কাছে চলে গেছিল ইরান। কিন্তু আমিরি ফাঁকা জায়গায় হেড করার সুযোগ পেয়েও সেটিকে গোলবারের উপর দিয়ে মারেন। ম্যাচের শেষ দিকে বল দখলের লড়াইতেই বেশি ব্যস্ত ছিল দলগুলো। শেষ দিকে আর কোন গোল না হলে ১-০ গোলের স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্পেন। অন্যদিকে হেরেও দ্বিতীয় রাউন্ডের সম্ভাবনা টিকে রয়েছে ইরানের। শেষ ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে জিতলেই পরের রাউন্ডে চলে যাবে তারা।
আরআর/এমআরএম
Advertisement