সবুজ পাহাড় ঘেরা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য’র শহর বান্দরবান। পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুরা সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন এ জেলায়। নীলাচল ও নীলগীরির মেঘ যেন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে।
Advertisement
ঈদের ছুটিতে আসা পর্যটকরা শহরের কোলাহল থাকে স্বস্থির সন্ধানে মুগ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়ান বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, স্বর্ণ মন্দির, শৈলপ্রপাত ও নীলগীরি। তবে এবারের ঈদের ছুটি কম হওয়ায় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের ভিড় কম।
তবে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে দূর-দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা মুগ্ধ হয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন এদিক ওদিক। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে আবার কেউ এসেছেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। মেঘের ভেলা ভেসে যাওয়ার দৃশ্য অনেকে বন্দি করছেন মুঠোফোনে।
ঢাকার বনানী থেকে আসা ফাতেম বেগম জানান, আমি এর আগে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে গিয়েছি। আমার কাছে মনে হয় বান্দরবানটা বেস্ট। আসলেই এটা বাংলাদেশের দার্জিলিং। সকালে এখানে এসেছিলাম তখন মেঘ ছিল। তাই বিকেলে আরও আসা।
Advertisement
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা সাইফুল আলম জানান, বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখার জন্য অনেক দিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম। দেশের মধ্যে এত সুন্দর একটা জায়গা আছে তা জানতাম না। কেউ না আসলে এর সৌন্দর্য্য কি, কেউ বুঝতে পারবে না।
তবে এই ঈদে পর্যটক কমে যাওয়ায় পর্যটন ব্যবসায় নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা টিকেট ম্যানেজাররা জানান, ২০১৭ সালের ঈদ উল ফিতরের দিন নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক এসেছিল ২ হাজার ৬২৭ জন। ঈদের দ্বিতীয় দিন এসেছিল ২ হাজার ৬৮৮ জন। তবে ঈদের প্রথম দিনেই মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৪০০ জন।
বান্দরবানের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, ভারি বৃষ্টিপাত, ঈদের ছুটি কম হওয়ায় এবার পর্যটক কম। তাই হোটেল-মোটেলগুলোতে পর্যটকের হার কম।
Advertisement
এদিকে বান্দরবানে আসা পর্যটকদের থেকে যেন বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারে সেজন্য প্রশাসন থেকে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, দেশি-বিদেশি পর্যটক থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় না করার জন্য পরিবহন সেক্টরগুলোতে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা বান্দরবানকে পর্যটনসমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত করতে চাই।
সৈকত দাশ/এমএএস/জেআইএম