বিশ্বকাপের প্রথম হাই ভোল্টেজ ম্যাচে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের বিপক্ষে মাঠে নামছে ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। বিশ্বকাপের মাত্র একদিন আগে কোচ ছাটাই করার ফলে রীতিমত ঝড় বয়ে যায় স্পেন শিবিরে। সেই ঝড় কাঁটিয়ে ওঠার আগেই পর্তুগালের বিপক্ষে মাঠে নামছে স্পেন। প্রথমার্ধ শেষে স্পেনের আক্রমণে মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্তুগিজ ডিফেন্স। কিন্তু প্রথমার্ধে রোনালদোর জোড়া গোলে স্পেনের সেই আক্রমণ পরিণত হয় হতাশায়।
Advertisement
ম্যাচের দুই মিনিটে দুর্দান্ত সূচনা পায় বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। বা-পাশ থেকে রোনালদো বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতরে ঢুকলে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার নাচো অবৈধভাবে বাধা দিলে পড়ে যান রোনালদো। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান।
যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে রোনালদোর সঙ্গে নাচোর তেমন কোন কন্টাক্টই হয়নি। স্পট কিক থেকে বাম কর্নারে বল পাঠিয়ে পর্তুগালকে ৪ মিনিটেই ১-০ গোলে এগিয়ে দেন এই রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলার।
এই গোলের সুবাদে কিছু মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি। বিশ্বকাপ ইতিহাসের ৪র্থ ফুটবলার হিসেবে ৪টি বিশ্বকাপে গোল করলেন রোনালদো। পাশাপাশি প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা আটটি মেজর টুর্নামেন্টে পর্তুগালের জার্সি গায়ে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি।
Advertisement
ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল স্পেন কিন্তু আলবার কাছ থেকে বল পেলেও সেটি গোলবারের উপর দিয়ে মারেন ডেভিড সিলভা। ম্যাচের ২৪ মিনিটেই স্পেনকে সমতায় ফেরান ডিয়েগো কস্তা। ডি বক্সের সামান্য বাইরে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারকে নাকানি চুবানি খাইয়ে প্যাট্রিসিওকে বোকা বানিয়ে ডান কর্নারে বল পাঠান কস্তা। নিজের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম অন টার্গেট শটেই গোল করলেন কস্তা।
২৬ মিনিটে আবারো এগিয়ে যেতে পারতো স্পেন কিন্তু ডি বক্সের বাইরে থেকে ইস্কোর নেওয়া আচমকা শট গোলবারে লেগে গোললাইন থেকেই ফিরে আসলে গোল বঞ্চিত হয় স্পেন।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে আলবার সাথে সুন্দর বোঝাপড়ায় ইনিয়েস্তা ডি বক্সের ভেতর দুর্বল শট নিলে গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মাত্র এক মিনিট আগে গুয়েদেসের কাছ থেকে বল পেয়ে রোনালদো বা-পায়ে শট নিলে ডে গিয়ার হাত ফসকে জালে গিয়ে জড়ায়। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে পর্তুগাল।
আরআর/আইএইচএস
Advertisement