প্রবাস

ইতালিতে ঈদ উদযাপন

ইতালিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ইতালিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে একই দিনে ঈদ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রোমে পৃথক পৃথকভাবে একাধিক স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

বাংলাদেশিদের ব্যবসায়ী কেন্দ্র পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিও পার্কে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রোম দূতাবাস বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার স্থানীয় সময় সকাল ৯ টায় বাংলাদেশিদের সঙ্গে একই কাতারে ঈদের জামাত আদায় করেন।

এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, ঈদ মুসলিমদের জন্য মহা আনন্দের দিন। ঈদ বয়ে আনুক সবার জীবনে সুখ সমৃদ্ধি। নামাজ শেষে তিনি বাংলাদেশিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এ বছর মসজিদসহ ইতালির কমপক্ষে ত্রিশটি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদে রোম, মসজিদে উম্মাহ ও বৃহত্তর সিলেট জালালাবাদ কল্যাণ সংঘের সভাপতির উদ্যোগে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তারা, লারগো প্রেনেসতে ও কাসিলিনা ভাঙা দেয়ালের খোলা মাঠে সকাল সাড়ে সাতটায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৃথক এ জামাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।

Advertisement

দীর্ঘ একমাস রোজা রাখার পর আল্লাহর নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভের আশায় কর্মব্যস্ততার মাঝে ঈদ জামাতে শরিক হন বাংলাদেশিরা। কোনো কোনো স্থানে মুসল্লিদের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় পরপর চারটি জামাতের ব্যবস্থা করেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

ঈদ জামাতে শরিক হয়ে সামাজিক সংগঠন ধুমকেতুর কর্ণধার নুরে আলম সিদ্দকী বাচ্চু ইতালি প্রবাসীদের ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানান। সেই সঙ্গে ঈদের খুশিতে যুব্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেন।

লারগো প্রেনেসতে ঈদ জামাতের আয়োজকদের একজন ইতালি মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি নায়েব আলি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এখানে বাংলাদেশিদের জন্য ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবার উপস্থিতি দেখে আমি ভীষণ খুশি। প্রবাসে যেন এক টুকরো বাংলাদেশ দেখছি।

নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি চেয়ে বিশেষ দোয়া করা হয়। এসময় বাংলাদেশিদের মুখমণ্ডলে বোবা কান্নার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে। অনেকের চোখের জলে বুক ভাসে। আত্মীয় পরিবার ছাড়া প্রবাসে একাকী ঈদের খুশি যেন যেন পরিপক্ক আনন্দ দেয় না। অর্থের মাঝে বন্দি প্রবাসে সুখের জীবন। ঈদ জামাতে কেউ কেউ অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন পরিবারের কথা স্মরণ করে। তবে খোলা মাঠে ঈদের জামাত ইতালিয়ানদের অবাক করে। কারণ পায়জামা, পাঞ্জাবি, টুপি এ ধরনের পোশাক তারা দেখে অভ্যস্ত নয় ফলে বছর ঘুরে দিন ফিরে এলে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ ঈদকে জানার জন্য ইতালিয়ানরা কৌতূহলী হয়ে উঠে।

Advertisement

এদিকে প্রবাসীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইতালি আওয়ামী লীগের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর ফরাজী, ইতালি বিএনপির সভাপতি হাজি আব্দুর রাজ্জাক, জাসদ আন্তর্জাতিক সম্পাদক (আম্বিয়া-প্রধান) অ্যাডভোকেট আনিছুজ্জামান আনিছসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এসএইচএস/পিআর