দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের টয়েলেটের দরজা ভেঙে কলেজ পড়ুয়া মা ও এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। নবজাতকটিকে আহত অবস্থায় শিশু ওয়ার্ডে ও মাকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে দিনাজপুর ২৫০ বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জিকেল ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমাবার দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে দিনাজপুর শহরের এক কলেজ পড়ুয়া কুমারি মা দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে তথ্য গোপন করে ভর্তি হয়। এর আগেই সে প্রসব ব্যথা ওঠার জন্য সাইটকেম ট্যাবলেট খায়। হাসপাতালে এসে ব্যথা শুরু হলে সে তার মাকে প্রসাব করার কথা বলে সার্জিকেল ওয়ার্ডের টয়লেটে যায়। সেখানে সে একটি সন্তানের জন্ম দেয়। পরে সে সন্তানটিকে হত্যার জন্য টয়লেটের প্যানের মধ্যে ঠেলে মাথা ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় টয়লেটের ভেতর থেকে নবজাতকের কান্না শুনতে পেয়ে ওয়ার্ডের অন্য রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডের নার্সদের খবর দেন। খবর পেয়ে নার্স এবং ওয়ার্ড বয় ছুটে গিয়ে টয়লেটের প্যান ভেঙে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পারভেজ সোহেল রানা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মা এবং শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে মা ও নবজাতক দুইজনই সুস্থ আছে। তবে এ বিষয়ে কলেজ পড়ৃয়া মেয়ে ও তার মা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
দিনাজপুর ২৫০ বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পারভেজ সোহেল রানা জানান, শিশুটি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের আগে ওষুধ খেয়ে প্রসব ব্যথা উঠিয়ে অনেক চাপ দিয়ে শিশুটিকে প্রসব করায় কুমারী মায়ের জরায়ু ফেটে গেছে। তা সেলাই করা হয়েছে। শিশুটিকে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো হয়েছে। মা ও শিশু ভালো আছে। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
Advertisement
এমদাদুল হক মিলন/আরএআর/পিআর