প্রবল বর্ষণের কারণে ভূমিধসের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী অন্তত সাড়ে তিনশ পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
Advertisement
সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে নগরের ৯টি পাহাড় থেকে বসবাসকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন।
সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরীতে শুক্রবার বিকেল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। আজ সকালেও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ কান্ত ও মিলি রহমান জাগো নিউজকে জানান, এখানে বর্ষা মৌসুমে সাধারণত গড়ে ৪০-৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টায় ২৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
Advertisement
প্রবল বর্ষণে ভূমিধসের আশঙ্কায় নগরীর লালখানবাজার, মতিঝর্ণাসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনভর বাসিন্দাদের সরানোর কাজ করেছে জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম। প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১৭০টি ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে সেখানে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মনসুর জাগে নিউজকে বলেন, সোমবার সকাল থেকে পরিচালিত অভিযানে নগরের আকবর শাহ, জালালাবাদ এবং খুলশী পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ৭০টি পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এর আগে নগরে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের কারণে রোববার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা পরিবারগুলোকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করে জেলা প্রশাসন।
বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাব্বিরা আরফিন মুস্তফা বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে ৮০টি ঘর খালি করেছি। ১২টি পরিবারকে লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এনে রেখেছি। অনেকে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় চলে গেছে।’
Advertisement
এদিকে দিনভর বৃষ্টিতে নগরের নিচু এলাকায় পানি জমে দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী। বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক শিশুসহ তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এমআরএম/আরআইপি