রাঙামাটিতে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পাহাড় ধসের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মনে। জেলা প্রশাসন থেকে সতর্ক বার্তা দিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হলেও কোথায় যাবেন তা জানেন না জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বাস করা এ মানুষগুলো।
Advertisement
গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া হাল্কা বৃষ্টি আজ রোববার সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে হচ্ছে। আর তাই গত বছরের পাহাড় ধসের আতঙ্ক তাড়া করছে ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের।
রাঙামাটির ভেদভেদী, উত্তর-দক্ষিণ মুসলিম পাড়া, সনাতন পাড়া, শিমুলতলী, রুপনগর, নতুন পাড়া, মনতলা, হাজংতলাসহ আরো বেশ কিছু স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছেন সাধারণ মানুষ। প্রশাসন ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সকলকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বললেও কেউ মানছেন না সেই নির্দেশ।
শিমুলতলী এলাকার বাসিন্দা জালাল মিয়া বলেন, রাঙামাটিতে গত শুক্রবার থেকে আবারও বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলে সবার মনে আতঙ্ক বেড়ে যায়। কিন্তু কোথায় যাব বউ, ছেলে নিয়ে? যাওয়ার মতো কোনো স্থান নেই বলেই পাহাড়ে বসবাস করছি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন এসে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়ে গেছে। এ জায়গা নাকি ঝুঁকিপূর্ণ তাই নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলছে। কিন্তু নিরাপদ স্থান কোথায় সেটাইতো কেউ বলছে না।
মনতলা এলাকার বাসিন্দা জিদিম চাকমা বলেন, গত বছর নিজের চোখে দুর্ঘটনা দেখেছি, তাই এখন আমরা সবাই ভয়ে আছি। রাতে বৃষ্টি হলে বসে থাকি। কখন না জানি কী হয়ে যায়।
এদিকে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র সহকারী পরিচালক দিদার আলম জানান, গত বছরের পাহাড় ধসের কথা মাথা রেখে আমরা এখন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। পর্যাপ্ত উদ্ধারকারী সরঞ্জাম মজুদ রাখা হয়েছে এবং জনবলও প্রস্তুত রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানান, রাঙামাটিতে ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ করে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশা করছি যেকোনো পরিস্থিতি আমরা মোকাবেলা করতে পারব।
এফএ/জেআইএম