বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমরা ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-০৬ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময় শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছি। অথচ এই সরকার শিক্ষা খাতকে সবসময় অবহেলা করেছে। তিনি বলেন, এবারও বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দুই শতাংশ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাকে পণ্য করে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
শনিবার রাজধানীর বিজয় নগরে একটি হোটেলে ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আব্দুল মঈন খান বলেন, আজকে মেগা প্রজেক্ট নেয়া হচ্ছে। যদি ১০০ কোটি টাকার প্রজেক্টেও প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া হয়, তারা বলে ১০০ কোটি টাকায় কী হয়, এটাকে ১০০০ কোটি টাকা বানাও। তখন বাকি টাকা লুটপাট করা হয়। আমি বলি মেগা প্রজেক্টের নামে এখন মেগা লুটপাট চলছে।
তিনি বলেন, বাজেটের আকার বড় নাকি ছোট সেটা দিয়ে বিচার করলে হবে না। টাকা কোন খাতে কিভাবে ব্যয় হচ্ছে সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। আজকে তারা বলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছি। অথচ এই পদ্মা সেতুর প্রকল্প প্রস্তাব প্রথম জমা দেয়া হয় তখন সেটার পরিমাণ ছিল সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। এখন সেই প্রকল্পের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্প শেষ হতে এটা বেড়ে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকা হয়ে যাবে। বাকি টাকা কার পকেটে গিয়েছে?
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারের ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত। বাকি ১৪৬ জনও মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের ভোটে নির্বাচিত। সেই সরকারের বাজেট দেয়ার কোনও অধিকার নেই। এই সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
কেএইচ/ওআর