তথ্যপ্রযুক্তি

বাজেট হবে ইন্টারনেট বান্ধব

তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতে সম্পূরক শুল্ক সাড়ে ৪ শতাংশ থেকে দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হচ্ছে আসন্ন বাজেটে। অপরদিকে ইন্টারনেট সেবার ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট কিছুটা কমানোর প্রস্তাবনা আসতে পারে। গত ২১ মে সচিবালয়ে বেসিস নেতাদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ প্রতিশ্রুতি দেন অর্থমন্ত্রী। যে কারণে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতে সম্পূরক শুল্ক সামান্য বাড়লেও আসন্ন বাজেট হবে ইন্টারনেট বান্ধব।

Advertisement

আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। এটি বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি সেবার ওপর নতুন শুল্ক কাঠামো ঘোষণা করা হবে। তবে সুখবর থাকছে ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে।

জানা গেছে, ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে অনেক ক্ষেত্রে ভ্যাটের স্তর কমিয়ে পাঁচটিতে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে এনবিআর। সে কারণেই কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভ্যাট একটু আধটু হ্রাস-বৃদ্ধির ঘটনা ঘটবে বলে আভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, যেসব সেবার ওপর সাড়ে ৪ শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান রয়েছে, তার সবগুলোকেই বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্যই এটি করা হচ্ছে। যদিও এতে করে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতে ভ্যাট বাড়বে এবং গ্রাহক পর্যায়েও সেবার খরচ কিছুটা বাড়বে।

Advertisement

এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জাগো নিউজকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি সেবার ওপর ভ্যাট বাড়লেও ইন্টারনেট সেবার ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট কিছুটা কমার প্রস্তাবনা আসতে পারে। এটি অবশ্যই আশার খবর।

প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ি 'ডি-টেক ইনফো' এর স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির কোনো খাতেই ভ্যাট বাড়ানো ঠিক না। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্তরায় হবে। আমরা সরকারের প্রযুক্তি বিপ্লবের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে চাই।

এদিকে দীর্ঘদিন যাবত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, মোবাইল ফোন অপারেটর ও এ ব্যবসায় জড়িতরা ইন্টারনেটের ওপর থেকে ভ্যাট সম্পূর্ণ তুলে নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন অনেক দিন আগে থেকে। অর্থমন্ত্রী কিছুদিন আগে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে সংশ্লিষ্টদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আরএম/এমএমজেড/এমএস

Advertisement