ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেছে। ফলে চলতি বছরের মে মাসে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাস হিসাবে এ অঙ্ক গত প্রায় চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
Advertisement
এর আগে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার। যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গত কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকায় অর্থবছর শেষ হওয়ার এক মাস বাকি থাকতেই গত অর্থবছরের পুরো সময়ে আসা রেমিট্যান্সের তুলনায় ৬.৩ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) প্রবাসীরা এক হাজার ৩৫৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।
Advertisement
গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্সে এ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেকর্ড এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিটেন্স আসে। এরপর তিন বছর ধারাবাহিকভাবে রেমিটেন্স কমেছে।
বর্তমানে আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে প্রতি ডলার ৮৩ টাকা ৭০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক বছর আগে ছিল ৮০ টাকা ৫০ পয়সা। এ হিসাবে এক বছরে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। রেমিটেন্স বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। রোববার দিন শেষে রিজার্ভে ছিল তিন হাজার ২৪২ কোটি ডলার।
Advertisement
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে আসা ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক ও রাকাব) মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ২৩ লাখ ডলার। এ ছাড়া ৩৯ বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার এবং ৯ বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এক কোটি ৩৪ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে।
এদিকে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীরা এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার সমপরিমাণ মূল্যের রেমিট্যান্স দেশে আসে। যা এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল এক হাজার ৪৯২ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ কোটি ডলার বা ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এসআই/এএইচ/এমএস