প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম জজ কোর্টে ও বিস্ফোরক আইনে ফটিকছড়ি থানায় পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ৩ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, তিন সপ্তাহের পর তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হয়েছে।
Advertisement
বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল (এম এ) হাফিজ ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার তার জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী হলেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই। গিয়াস কাদেরের বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, গিয়াস কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ফটিকছড়িতে ৩০ মে বিস্ফোরক আইনে করা এক মামলায় এবং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা মামলায় গিয়াসউদ্দিন কাদেরকে ৩ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন আদালত। তিন সপ্তাহের পর তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৩১ মে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রামের আদালত।
মামলায় বলা হয়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৯ মে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার বাবার চেয়েও আপনার অবস্থা খারাপ হবে। আপনার বাবার মৃত্যুর পর যেমন ইন্নালিল্লাহ্ পড়ার লোক ছিল না, আপনার পরিণতি তার চেয়েও খারাপ হবে। আপনাকে বাবার চেয়েও নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করতে হবে।’
Advertisement
আরও পড়ুন : সাকা চৌধুরীর ‘গুডস হিলে’ হামলা
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে ফটিকছড়িতে মামলা হয়। ২৯ মে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর পৈতৃক বাসভবন গুডস হিলে হামলা ও ভাঙচুরও চালানো হয়।
ফটিকছড়ি থানায় বিস্ফোরক আইনে অপর মামলাটি করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন। থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগে বলা হয়, মিলাদ মাহুফিল থেকে ছাত্রলীগের মিছিলের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়।
এরপর তার বিরুদ্ধে অন্তত ছয়টি মামলা হয় বলে জানান রুহুল কুদ্দুস কাজল। আজ সকালে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল গিয়াস কাদেরের জামিনের আবেদন করেন। ওই জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।
এফএইচ/এনএফ/জেএইচ/জেআইএম/এমএস