রমজান মুক্তির মাস। এ মাস মানুষকে দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় অনষ্টি থেকে মুক্তি দেয়। আর তাই মুমিন মুসলমান পরম মমতায় দুনিয়ার জীবনে বছরব্যাপী সিয়াম-সাধনা করে থাকে। রোজায় সফলতা অর্জনকারীর জন্য রয়েছে সুনির্ধারিত জান্নাত ‘রাইয়্যান’।
Advertisement
রোজাদারদের জন্য ‘রাইয়্যান’ নামক জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
>> হজরত সাহল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জান্নাতের মধ্যে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে; কেয়ামতের দিন তা দিয়ে রোজাদাররাই প্রবেশ করবে। তাদের (রোজাদার) ব্যতিত এ দরজা দিয়ে অন্য কাউকে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে না।
ঘোষণা দেয়া হবে যে-‘রোজাদার লোকেরা কোথায়! তখন তারা (সব রোজাদার) দাঁড়াবে। তাদের ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। যাতে এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করনে না পারে।’ (বুখারি)
Advertisement
আরও পড়ুন > তারাবিহ নামাজ কত রাকাআত পড়বেন?
হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ তিরমিজির এক বর্ণনায় এসেছে-
জান্নাতের একটি দরজা আছে, যাকে রাইয়্যান বলা হয়, তার জন্য রোজাদারকে আহ্বান করা হবে, যে রোজাদারদের অন্তর্ভূক্ত হবে, সে তাতে প্রবেশ করবে, সে তাতে প্রবেশ করবে কিন্তু কখনো পিপাসর্ত হবে না।’
রোজার মাধ্যমে মুমিন বান্দা আল্লাহ ভয় এবং ভালোবাসা অর্জন করে। যে ভয় বান্দাকে অন্যায় থেকে বিরত রাখে আর যে ভালোবাসা সব সময় ভালো কাজের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। এ কারণেই আল্লাহ রোজা পালনকারী সফল বান্দাদের জন্য আলাদা স্বতন্ত্র ব্যবস্থা হিসেবে রেখেছেন রাইয়্যান নামক জান্নাত।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম মিল্লাতের সব রোজাদারকে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের তাওফিক দান করুন। রাইয়্যান নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি