আইন-আদালত

বার কাউন্সিল নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা শনিবার

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হবে আগামী শনিবার (২৬ মে)। বার কাউন্সিল সচিব জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত কাউন্সিলের ওয়েবসাইটের বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ভোট গণনা উপলক্ষে ওই দিন সকাল ১০টায় কাউন্সিলের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

Advertisement

এর আগে গত ১৪ মে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনসহ দেশের জেলা সদরের সকল দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণ এবং বাজিতপুরসহ দেশের ১২ উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি আদালতে স্থাপিত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভোট গ্রহণের পর বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে ১২টিতেই জয় পেয়েছেন তারা। দুটি পদে জয় পেয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

নির্বাচনে সাধারণ সাতটি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, শ ম রেজাউল করিম, জেড আই খান পান্না, সৈয়দ রেজাউর রহমান, ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, মোখলেছুর রহমান বাদল নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে একমাত্র নির্বাচিত প্রার্থী এ জে মোহাম্মদ আলী।

Advertisement

এছাড়া সাতটি আঞ্চলিক আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগসমর্থিত সাদা প্যানেলের গ্রুপ ‘এ’ (বৃহত্তর ঢাকা জেলার সকল আইনজীবী সমিতি) থেকে অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, গ্রুপ বি-তে (ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর জেলার আইনজীবী সমিতি) মো. কবির উদ্দিন ভূঁইয়া, গ্রুপ ডি-তে (কুমিল্লা জেলা ও সিলেট জেলা অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি) এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী, গ্রুপ ই-তে (খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি) পারভেজ আলম খান, গ্রুপ এফ-তে (রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি) মো. ইয়াহিয়া, এবং গ্রুপ জি-তে (দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার আইনজীবী সমিতি) রেজাউল করিম মন্টু নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে, গ্রুপ সি-তে (চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার আইনজীবী সমিতি) নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তথ্যমতে, বার কাউন্সিল মূলত ১৫ সদস্যের কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার-১৯৭২’ অনুসারে প্রতি তিন বছরে একবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের মাধ্যমে ১৪ জন সদস্য নির্বাচিত হয়ে কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্ব পান।

তবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এ কারণে চেয়ারম্যানের পদ ব্যতীত বাকি ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং আঞ্চলিকভাবে গ্রুপ আসনে সাতজন আইনজীবী সদস্য নির্বাচিত হন।

Advertisement

এফএইচ/বিএ