বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হবে কি-না সে বিষয়ে অপেক্ষা আরও বাড়ল।
Advertisement
খালেদার জামিনের বিষয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল।
তবে সকালে আরও শুনানি করতে চান বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এরপর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শুনানি করতে বলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।
Advertisement
আরও পড়ুন : রায়ের দিন শুনানির সুযোগ পেলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল ছাড়াও খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জয়নুল আবেদনকেও শুনানির সুযোগ দেয়া হয়।
পরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ খালেদার জামিনে বিষয়ে রায়ের জন্য কালকের দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিয়ে দু’দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ৮ ও ৯ মে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
আরও পড়ুন : খালেদার রায় ঘিরে আদালতে চার শতাধিক আইনজীবী
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায়ের দিনই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১২ মার্চ দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত।
এরপর ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৮ মে পর্যন্ত জামিন স্থগিতের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীদের আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেন।
এফএইচ/এনএফ/পিআর