বর্ষা ও ভ্যাপসা গরমে ডায়রিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বান্দরবানের তমব্রু সীমান্ত সংলগ্ন জিরো লাইনে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ‘ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন’ (ওসিভি) খাওয়ানো হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবাবার ২ হাজার ৫৩৮ রোহিঙ্গাকে এ ওসিভি ভ্যাকসিন দেয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাবলিউএইচও) সহায়তায় অনুষ্ঠিত এই ক্যাম্পেইনে বান্দরবান জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা অংশ নেন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে টিকতে না পেরে গত বছরের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় ২৬ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিক বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঢুকে পড়ে। এদের মধ্যে ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু কোনা পাড়া ও উত্তর পাড়া জিরো লাইনে অবস্থান নেয় ৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক।
জাতিসংঘ শরণার্থী প্রত্যাবাসন সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তত্বাবধানে কয়েক দফায় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে স্থানান্তর করা হয়।
Advertisement
তবে জিরো লাইনে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে বা অন্য কোনো শিবিরে স্থানান্তরে রাজি হয়নি। ফলে গত ৮ মাস ধরে ইউএনএইচসিআর-এর তত্ত্বাবধানে তাদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অং শৈ প্রু জানান, এটি তৃতীয়তম ওসিভি ক্যাম্পেইন। এবার ১ বছর বয়স থেকে উপরের ২৫৩৮ জনকে ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয়েছে।
এর আগে আরও দুই দফায় শিশুদের ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয়। এর ফলে প্রচণ্ড খরা মৌসুমেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডায়রিয়া বা কলেরা রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।
সৈকত দাশ/এএম/এমএস
Advertisement