রাজধানী বাড্ডার কামরুজ্জামান ওরফে দুখু মিয়া (৩২) হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফারুক আহম্মেদসহ তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক খন্দকার রাজীব আহম্মেদ।
Advertisement
অপরদিকে তাদের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ১০ মে ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ফারুকসহ তিন জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড নেয়া আসামিরা হলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য রহমত উল্লাহর ভাগ্নে ফারুক আহম্মেদ, ফারুকের ভাই আইয়ুব আনসারী এবং চাচাতো ভাই মারুফ আহম্মেদ। মারুফ আহম্মেদ বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য রহমতুল্লাহ নিজের ছেলেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর করতে চেয়েছিলেন। তাতে বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম আপত্তি করায় গত জানুয়ারি থেকে তাদের বিরোধ শুরু হয়। এর জের ধরে গত ২২ এপ্রিল বেরাইদে আসামিদের ছোড়া গুলিতে দুখু মিয়া নিহত হন। আহত হন অন্তত ১০ জন। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ফারুক আহমেদকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। নিহত দুখু মিয়া বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই।
Advertisement
জেএ/ওআর/পিআর