হিন্দুদের শতবর্ষী শ্মশান দখলের অভিযোগে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ২০ মে সশরীরে হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে হিন্দুদের শতবর্ষী শ্মশান দখলের কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
একই সঙ্গে, আদালতের অপর এক আদেশে কেন তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা দিতেও বলা হয়েছে।
আদালতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।
Advertisement
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, আজ রুলের শুনানিতে আদালতকে বলেছি, প্রত্যেক নাগরিক সে হিন্দু বা মুসলিম যে ধর্মেরই হোক, তাদের শ্মশান ও কবরস্থান ধর্মীয় দিক থেকে পবিত্র স্থান। সংবিধানেও এসব স্থানের সুরক্ষায় মর্যাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের সামনেই এমন জঘন্য ঘটনা ঘটলেও কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ওই বিষয়ে রিট করার পর তার শুনানি নিয়ে আজিজুল হককে আদালতে তলব করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হকের বিরুদ্ধে স্থানীয় শতবর্ষী শ্মশানের জায়গা দখল করা নিয়ে কবর প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই আদালত রুল জারি করেন।
রুল জারির পাশাপাশি আদালত এক আদেশের মাধ্যমে শ্মশান দখল ও সেখানকার নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
পরে তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেলেও এ সংক্রান্ত জারি করা রুলের শুনানি আদালতে চলমান থেকে যায়। যার প্রেক্ষিত্রে আজ আদালত রিটকারী পক্ষের শুনানি হয়। শুনানি শেষে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হককে তলব করেন হাইকোর্ট।
Advertisement
এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি