২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তুরিন আফরোজ। ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়। ওই রায়ে তার ফাঁসি না হওয়ার কারণ হিসেবে প্রসিকিউশনের কৌশলগত দুর্বলতা, অদক্ষতা ও ব্যর্থতার কথা প্রকাশ্যেই তুলে ধরেছিলেন তুরিন আফরোজ। এরপর তাকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেয় সরকার। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলোতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
Advertisement
তবে এবার তার বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ উঠেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার এক আসামির সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এ প্রসিকিউটর গোপনে বৈঠক করেছেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব গত বছরের ১১ নভেম্বর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে দেয়া হয়।
এরপর ওয়াহিদুল হককে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সাক্ষাৎ করতে চান তুরিন আফরোজ। তাকে যে কোনো দিন আটক করা হতে পারে বলেও তিনি কথোপকথনে জানান। প্রথমে ওয়াহিদুল হকের গুলশানের বাসায় তাদের সাক্ষাৎ হবে বলে জানানো হয়। পরে সাক্ষাতের স্থান পরিবর্তন করা হয়। তারা গুলশানে অলিভ গার্ডেন নামের একটি রেস্টুরেন্টে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা প্রায় তিন ঘণ্টা মামলার নথিপত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
Advertisement
এ সময় ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এবং তাকে গ্রেফতারের আদেশের অনুলিপি নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় ওয়াহিদুল হককে। পরদিন ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠান।
ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অভিযোগে ইতোমধ্যে তুরিন আফরোজকে ট্রাইব্যুনালের সব ধরনের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন প্রসিকিউশন। অভিযোগ প্রমাণি হলে তাকে বিধি মোতাবেক বরখাস্ত করা হতে পারে। এমনকি তার পেশাদারি সনদও বাতিল করতে পারে বার কাউন্সিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু এ প্রসঙ্গে জাগো নিউজকে বলেন, ড. তুরিন আফরোজের গোপন বৈঠক সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত চলছে। আমি কোনো পক্ষের হয়ে কথা বলবো না। তার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়টি তদন্ত হওয়ার পর জানা যাবে। এ বিষয়ে আমি কোনো কিছু জানি না।
Advertisement
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় তুরিন আফরোজের শুনানির উল্লেখযোগ্য অংশ
গোলাম আযমের বিচার কার্যক্রম
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের তিন কৌঁসুলির মধ্যে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ছিলেন একজন।
২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তুরিন আফরোজ। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘ত্রুটিপূর্ণ’— আসামিপক্ষের এ যুক্তি খণ্ডন করে সেদিন তুরিন আফরোজ বলেন, আইনের ১৬ (১) ধারা অনুসারে অভিযোগে যেসব উপাদান থাকার কথা, যেমন অপরাধের বিবরণ, তা এখানে উপস্থিত। অপরাধের দায়- এর ধরন অভিযোগে থাকতে হবে, এটা আইনে বলা নেই।
পূর্ব তিমুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ফ্লোরেন্সিও তাকাকুইয়ের বিরুদ্ধে মামলার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, তাকাকুইয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়। পরে সাক্ষ্যে জানা যায়, তিনি ছিলেন একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান। পরে তাকে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়ে সাজা দেয়া হয়।
পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বাহিনীগুলোর ওপর গোলাম আযমের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ছিল না—আসামিপক্ষের এ বক্তব্যের পাল্টা যুক্তিতে এই কৌঁসুলি বলেন, আসামির প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ একেবারেই দরকার নেই। দায়বদ্ধতা আসবে যদি আসামি ঊর্ধ্বতন অবস্থানে থেকেও অপরাধ করা থেকে অধীনস্থদের ঠেকাতে না পারেন বা অপরাধ করার পর অধীনস্থদের শাস্তি দিতে না পারেন।
অভিযোগ প্রমাণের জন্য পর্যাপ্ত সাক্ষ্য নেই— আসামিপক্ষের এ যুক্তি খণ্ডন করে তুরিন আফরোজ বলেন, সংবাদপত্র ও এতে ছাপানো ছবি যে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে, তা ট্রাইব্যুনালের আইনেই বলা আছে। ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের আপিল আদালত ‘ট্রাস্টিস অব জার্মান টাউনশিপ’ মামলায় ঐতিহাসিক ঘটনা প্রমাণে প্রাচীন সংবাদপত্র ব্যবহার করেছেন। যুক্তরাজ্যের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট আদালত ১৯৬১ সালে ‘ডালাস কাউন্টি’ মামলায় সংবাদপত্রকে ‘লিখিত প্রমাণ’ উল্লেখ করে বলেছেন, সংবাদপত্র সাক্ষ্য হিসেবে এ জন্য গ্রহণযোগ্য যে এটি বিশ্বাসযোগ্য, প্রাসঙ্গিক ও বাস্তব।
এ ছাড়া তুরিন প্রথমবারের মতো এই মামলায় বিভিন্ন বিচারিক আদলতের 'নোটিশ অফ কমন নলেজ'-এর বিষয়টি তুলে ধরেন, নুরেমবার্গ ও রুয়ান্ডা সহ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হওয়া ও জড়িতদের সংশ্লিষ্টতার পূর্বধারনা সর্বজনবিদিত বলে আদালত নতুন করে বিস্তারিত প্রমাণের অপেক্ষায় থাকেন না। আসামী যে সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীভুক্ত সেই প্রমাণই যথেষ্ট।
এ টি এম আজহারের বিচার কার্যক্রম
২০১৪ সালের আগস্টে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনি পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপনকালে আসামিকে নরপশু বলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে তলব করেন ট্রাইব্যুনাল।
পরে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তুরিন আফরোজ বলেন, আমি বিশ্বাস করি এবং সচেতনভাবেই তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই এটিএম আজহারকে নরপশু বলেছি। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট তিনি এসব কথা বলেন।
ওইদিন তুরিন আফরোজ বলেন, আসামি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন এটা মানহানিকর কীভাবে হলো তা আসামি বলুক। প্রয়োজনে আমি এ ব্যাপারে বৃস্পতিবার ( ওই বছরের ২৭ আগস্ট) তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দেব।
মতিউর রহমান নিজামীর বিচার কার্যক্রম
২০১৪ সালের ১২ মার্চ জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর প্রসঙ্গে তুরিন আফরোজ বলেন, “একাত্তরে মানবতার বিরুদ্ধে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেসব অপরাধ সংঘটনে মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন ‘একাত্তরের রিংলিডার’। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রাষ্ট্রপক্ষের শেষ দিনের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সৈয়দ মো. কায়সারের বিচার কার্যক্রম
২০১৪ সালের ৮ আগস্ট সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মো. কায়সারের বিরুদ্ধে মামলার সমাপনী যুক্তি উপস্থাপনের সময় দেশে প্রথম সাক্ষ্য দেয় যুদ্ধশিশু। এ মামলায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এ রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন তুরিন আফরোজ।
যুক্তি উপস্থাপনকালে তুরিন আফরোজ বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধশিশুদের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে এ মামলায় প্রথম কোনো যুদ্ধশিশু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৪২ বছর বয়সী ওই নারীর (যুদ্ধশিশু) মাকে কায়সার একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দিয়েছিল। এছাড়া কায়সার ও পাকিস্তানি সেনাদের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন দুজন নারী এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। ওই তিনজন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। তারা মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। সামাজিকভাবে তারা প্রতিনিয়ত লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। তাই তারা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ন্যায্য দাবিদার।
আব্দুস সুবহানের বিচার কার্যক্রম
২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কর্তৃক জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুস সুবহানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন ব্যারিস্টার তুরিন আফেরোজ। তখন তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের বিজয় হয়েছে, এটা প্রসিকিউশনের বড় অর্জন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী ফরাধের জন্য সুবহানকে শাস্তি দিতে পেরেছি। সুবহান ইসলামকে ব্যবহার করে র্ধমের অপব্যাখা দিয়ে মসজিদ থেকে মুসল্লিদের ধরে এনে হত্যা করেছেন। ট্রাইব্যুনাল বয়স বিবেচনায় না নিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন।’
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিচার কার্যক্রম
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ার পর ‘৫ প্রভাবশালী পাকিস্তানি নাগরিক সাক্ষ্য দিতে চায়’ শিরোনামে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর তীব্র সমালোচনা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদক ডেভিড বার্গম্যানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তুরিন আফরোজ ওই সময় বলেছিলেন, ‘মামলার দুই বছর পর এসে ডেভিড বার্গম্যান নাটক করছেন।’ এই প্রতিবেদনের বিপরীতে ট্রাইব্যুনালের কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তুরিন।
হুমকি ও হামলার শিকার
২০১৫ সালের ১১ জুন হুমকি ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করে অকথ্য ভাষায় লেখা (হাতে লেখা) বেনামে আসা একটি চিঠি পাওয়ায় সাধারণ ডায়েরি করেন তুরিন আফরোজ। রাজধানীর বনানী থানায় ওই জিডি নং ছিল ৫০২। প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে শিক্ষকতা করেন তুরিন আফরোজ। ট্রাইব্যুনাল থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি ওই চিঠি পেয়েছিলেন।
এছাড়া বাবাকে দাফন করে নীলফামারী থেকে ফেরার পথে গত বছরের জুনে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে হামলার শিকার হন তুরিন আফরোজ।
ফেসবুকে তুরিন আফরোজের স্ট্যাটাস
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) যে বিচারিক কার্যক্রম চলছে, ভারত তা সমর্থন করে। এই সমর্থনের পেছনে দায়িত্ববোধ ছাড়াও রয়েছে গভীর মমত্ববোধ। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে যে শিশুদেশটি জন্ম নিয়েছিল, সে জন্মে ভারতের ভূমিকা ছিল দক্ষ ধাত্রীর মতো। একজন ধাত্রী যেমন অত্যন্ত বিজ্ঞতায় একটি শিশুকে প্রসববেদনার্ত মায়ের জরায়ু চিরে নিয়ে আসেন পৃথিবীর আলোতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভেও ভারতের ভূমিকা ছিল সেই ধাত্রীর মতো।’
‘একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণের শিকার হয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা তখন ভারত সরকার করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়াও অস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহও তখন ভারত করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে মিত্রদেশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে সব মিলিয়ে ভারতের তখন খরচ হয়েছিল প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। মিত্রবাহিনী হিসেবে মুক্তিবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে নিহত ও আহত হয়েছিল ভারতের হাজার হাজার সেনা।’
জেডএ/এমএআর/এমএস