স্বাস্থ্য

রোগীর সামনেই অস্ত্রোপচার কক্ষে চিকিৎসকদের হাতাহাতি!

দুপুর দেড়টা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. তপন কুমার দাস অস্ত্রোপচার কক্ষে খাদ্যনালীর সমস্যা আক্রান্ত এক মহিলা রোগীর অস্ত্রোপচারের জন্য এনেস্থেটিস্ট ডা. ইব্রাহিমকে ডেকে রোগীকে অচেতন করতে নির্দেশ দেন।

Advertisement

অজ্ঞানকারী চিকিৎসককে পরপর কয়েকবার বলা হলেও (এমডি কোর্সের ছাত্র) তিনি অধ্যাপকের কথা শুনেও না শোনার ভান করেন! অধ্যাপকের পাশে দাঁড়ানো সার্জারি বিভাগের অন্যান্য জুনিয়র চিকিৎসকরা এ সময় তাদের স্যারের কথা না শোনায় ডা. ইব্রাহিমের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

এ নিয়ে ডা. ইব্রাহিমের সঙ্গে দু’জন চিকিৎসকের কথা কাটাকাটি, তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পাশে অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষমান রোগী ভয়ে আঁতকে উঠেন। বন্ধ হয়ে যায় অস্ত্রোপচার। পরে হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন ও কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদের হস্তক্ষেপে কাজে ফিরে আসেন চিকিৎসকরা।

ঢামেক অধ্যাপক ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছাত্রদের সামনে অধ্যাপকের নির্দেশ মানতে দেরি করায় চিকিৎসক ছাত্ররা অজ্ঞানকারী চিকিৎসকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ভুল বোঝাবুঝির ফলে এমনটা ঘটেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চিকিৎসকদের মধ্যে হাতাহাতি মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

Advertisement

অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, দু'পক্ষের বৈঠকে তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ঢামেক হাসপাতালে এক মিনিটের জন্য চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না।

এ ব্যাপারে জানতে অ্যানেসথেসিয়া বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন জানিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন বলে জানান। তবে ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন বলে স্বীকার করেন।

তবে সূত্র জানায়, অস্ত্রোপচার কক্ষে চিকিৎসকদের হাতাহাতির কারণে সার্জারি ইউনিটের সব ওটিই বন্ধ ছিল। চালু ছিল শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি ওটি।

এমইউ/এমআরএম/জেআইএম

Advertisement