বাংলাদেশ টিঅ্যান্ডটি শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেল ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করেছেন প্রথম শ্রম আদালত, ঢাকা। বুধবার আদালতের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শাহজাহান এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ টিএন্ডটি শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেল ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদকদ্বয় জাফরুল আহসান ও মো. জুম্মান মিয়ার করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
Advertisement
আবেদনের শুনানি করেন ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার পায়েল। তিনি জানান, গত ৩ মে শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক (ট্রেড ইউনিয়ন) স্বাক্ষরিত নির্বাচন-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি দেয়ার একদিন পর ৫ মে শনিবার বন্ধের দিন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ওই দিনই বিশেষ সাধারণ সভাসহ ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, মনোনয়নপত্র বিতরণ, জমাদান, মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রত্যাহার এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করার জন্য শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মাহবুব আলমকে মনোনীত করা হয়। তাদের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রতিবেদন দখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিষয়ে এই সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১২ ধারায় বলা হয়, নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক মাস আগে বর্তমান কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের মধ্যে থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। ওই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু গঠনতন্ত্রের এই নিয়ম সেই বিজ্ঞপ্তিতে সুষ্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৩ মে নোটিশ দিয়ে ৫ মে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে যা অযৌক্তিক ও ন্যায়বিচার পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, এ ইউনিয়নের সর্বশেষ নির্বাচন ২০০৪ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কার্যকরী পরিষদ নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে দুইজন মারা যান এবং ১৩ জন চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন। এ কারণে সংগঠনের সংবিধানের ১৮ ধারা অনুযায়ী বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বানের জন্য কোরাম হয় না। কারণ সভা আহ্বানের কোরাম হতে চার ভাগের তিন ভাগ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন।
Advertisement
এফএইচ/ওআর/জেআইএম