রাজনীতি

ছাত্রলীগের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত : ড. কামাল

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী, গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

Advertisement

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সর্বগ্রাসী লুণ্ঠন বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনাকে ধ্বংস করছে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। ভোটের নির্বাচন নেই। দেশে এখন লুটপাটের সরকার গঠন হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে। এসব অর্থ বিদেশে পাচার করছে। জনগণের অধিকার খর্ব করছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটের নির্বাচন ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য দেশের মালিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ছাত্রলীগের কাউন্সিল প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, অবশ্যই তাদের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত। আর শুধু ছাত্রলীগ নয় সব সংগঠনের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক উপায়ে হতে হবে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল আরও বলেন, ‘অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনিয়ম দুর্নীতি ছাড়িয়ে গেছে। আগে আমরা কোটি বা শত শত কোটি লুট ও পাচারের কথা শুনতাম। এখন শত শত কোটি নয়; হাজার হাজার কোটি লুটপাট আর পাচার হচ্ছে। যারা করছে তাদের বিচার হচ্ছে না। আর এসব কথা সরকারকে বলেও কাজ হচ্ছে না। কারণ অনিয়ম দুর্নীতি করে তাদের চামড়া গণ্ডার নয়; মহা গণ্ডারের অবস্থা হয়েছে। ’গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিত প্রসঙ্গে প্রবীণ এ রাজনীতিক বলেন, নির্বাচনে যখন দেখেছে ১০ শতাংশ ভোট ক্ষমতাসীনরা পাবে না তখন তারা আদালতের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করেছে। সরকার দেশে এখন কোনো জনসভা করতে দিচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, ঈদের পর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনসভা করব। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ জনসভা হবে।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রুত চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আজকে সবাই পরিবর্তন চাই। হাসিনার জায়গায় খালেদা আসলে পরিবর্তন আসবে না। পরিবর্তন করতে হলে বিবেকবানদের ক্ষমতায় আনতে হবে।

Advertisement

তারা বলেন, বিনা বিচারে ক্রসফায়ার দিয়ে বলছেন তারা সন্ত্রাসী। যদি এটা ঠিক হয় তাহলে যারা ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা যারা লুণ্ঠন করেছে তাদের ক্রসফায়ার দেন। তাবেই বুঝব আপনারা সঠিক আছেন। কিন্তু তা পারবে না। কারণ এটি বিনা ভোটে নির্বাচিত অবৈধ সরকার।

এসআই/ওআর/আরআইপি