পুলিশ দম্পতি খুনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মেয়ে ঐশীকে সহযোগিতা করার অপরাধে গৃহপরিচারিকা খাদিজা আক্তার সুমির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ রোববার (৬ মে) দুপুরে ঘোষণা করা হবে।
Advertisement
২২ এপ্রিল ঢাকা প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল মামুন রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। মামলায় ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ার পর পালিয়ে যায় ঐশী। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ১৭ আগস্ট ঐশী রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঐশী।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আসামিদের বিরুদ্ধে দুইটি পৃথক চার্জশিট দাখিল করেন। সুমি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কিশোর আইনে এবং ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আরেকটি চার্জশিট দাখিল করেন। সুমির মামলার বিচার কার্যক্রম কিশোর আদালতে পরিচালনা হয়। ২০১৪ সালের ২০ মে সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
Advertisement
২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধান আসামি তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে ডাবল মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন ঢাকার চার নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। অপর দুই আসামি ঐশীর বন্ধু রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও জনিকে খালাস দেন।
২০১৭ সালের ৫ জুন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
জেএ/আরএস
Advertisement