অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সংস্কার ও কাঠামো পুনরায় গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দু’দিনব্যাপী ৪৫তম সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকটি দেশ- ওআইসি সদস্য নয়, তাদের নাগরিকদের সংখ্যা অনেক বেশি। মুসলমানরা সেই দেশে সংখ্যালঘু হতে পারে, কিন্তু সংখ্যা অনুসারে- তারা প্রায়ই অনেক ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা অতিক্রম করে। ওইসব অ-ওআইসি দেশগুলোর সঙ্গে সেতু নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে। যাতে ওআইসি'র ভালো কাজের ছোঁয়া থেকে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী বঞ্চিত না থাকে। তাই ওআইসি সংস্কার এবং পুনরায় গঠন করা।’
‘টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নের জন্য ইসলামী মূল্যবোধ’- প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হওয়া এবারের সম্মেলনে ওআইসিভুক্ত ৫৭টি দেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই সম্মেলনে (সিএফএম) যোগ দিয়েছেন।
সম্মেলনের শুরুতে আগামী এক বছরের জন্য ওআইসির ৪৪তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আইভরিকোস্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কেল এমন ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে মাহমুদ আলীর হাতে দায়িত্ব তুলে দেন।
Advertisement
মাহমুদ আলী বলেন, সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা, সংঘাত এবং বৈষম্য- নিয়ে নিজেদের ভেতরে এবং রাজ্যগুলোর মধ্যে ভয়ানক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি আমরা। প্যালেস্টাইনের দখলদারিত্ব অব্যাহত থাকবে- যখন ফিলিস্তিনিরা তাদের মানবাধিকারের নিয়মানুগ লঙ্ঘন থেকে বেঁচে থাকবে। সব ফর্ম এবং প্রকাশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ইসলাম ফোবিয়া বাস্তব এবং চরমতম। বিশ্বের প্রতিটি কোণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এন্টি-মুসলিম কুসংস্কার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামাজিক সংহতির জন্য ইসলাম ফোবিয়াকে একটি হুমকি হিসেবে দায়ী করেছে ইউরোপীয় কমিশন। তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিপীড়ন ও তছনছ দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাচারিত সংখ্যালঘু হিসেবে তারা প্রায়ই বর্ণিত হয়। ওআইসিতে আমাদের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা এবং মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের একটি স্থায়ী রিজার্ভের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
এইউএ/জেএইচ/আরআইপি