ধর্ম

নামাজের জন্য অপেক্ষা করার ফজিলত

নামাজ ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা দিনে ও রাতে ৫ ওয়াক্ত নামাজ মানুষের জন্য ফরজ করেছেন। কুরআন এবং হাদিসে নামাজের অসংখ্য ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।

Advertisement

কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয় নামাজকে বিশ্বাসীদের জন্য নির্ধারিত সময়ে আদায় করা আবশ্যক কর্তব্য করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১০৩)

এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পর পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ আদায়ের জন্য অপেক্ষা করাও সাওয়াবের কাজ। যাদের অন্তরে এ অপেক্ষা থাকে তাদেরকে মসজিদে সঙ্গে অন্তর বেধে রাখা মুসল্লি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের জন্য অপেক্ষার ফজিলত ঘোষণা করেছেন-

Advertisement

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যতক্ষণ বান্দা নামাজের স্থানে বসে নামাজের জন্য অপেক্ষা করে ততক্ষণ সে নামাজেই থাকে। আর ফেরেশতাগণ বলতে থাকেন- হে আল্লাহ! তাকে করুণা করুন। এভাবে ফেরেশতাগণ দোয়া করতে থাকেন। বান্দা যতক্ষণ না পর্যন্ত নামাজের স্থান ত্যাগ না করে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

উল্লেখিত হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী বুঝা যায়, নামাজের জন্য অপেক্ষাকারী ব্যক্তির অপেক্ষার সময়কে নামাজ আদায়ের সময় হিসেবে ধরা হয়। আবার ফেরেশতারাও নামাজের জন্য অপেক্ষাকারী ব্যক্তির প্রতি রহমতের দোয়া করে।

এ অপেক্ষা হতে পারে এক নামাজের পর পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজের জন্য অপেক্ষা। আবার হতে পারে নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে গিয়ে বা নামাজের স্থানে গিয়ে নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার অপেক্ষা করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় নামাজের অপেক্ষায় সময় অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। নামাজের জন্য অন্তরে আগ্রহ তৈরির অভ্যাস গঠনের তাওফিক দান করুন। কুরআন সুন্নাহর আলোকে নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/পিআর