রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় অচেতন অবস্থায় চলন্ত সিএনজি থেকে পড়ে যাওয়া তরুণীকে নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। কেউ বলেন, অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েছে মেয়েটি, কেউ ধারণা করেছেন, মেয়েটি যৌন হয়রানির শিকার। তবে জ্ঞান ফেরার পর মঙ্গলবার পুলিশের কাছে নিজের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন তানিয়া (২০) নামের এই তরুণী।
Advertisement
মঙ্গলবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তানিয়া পুলিশকে জানান, তার বাবা সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা-মা আলাদা থাকেন। তিনি বাবার সঙ্গে থাকেন। গতকাল (সোমবার) বাবার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়, এতে তিনি মর্মাহত হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ধানমন্ডিতে যান। সেখানে মাদক গ্রহণ করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফলে সজ্ঞানে ছিলেন না। তাই কীভাবে তিনি সিএনজি থেকে পড়েছেন তা জানেন না।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে মেয়েটি এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সিএনজি থেকে পড়ে যাওয়ার পর তাকে আমরা উদ্ধার করি। কিন্তু কীভাবে তিনি সিএনজি থেকে পড়লেন, ভেতরে কেউ ছিল কি না এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। তিনি বলছেন, নেশাগ্রস্ত থাকায় তার কিছু মনে নেই।’
এদিকে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তাই মেয়েটিকে তার বাবার হেফাজতে হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি। এর আগে সোমবার রাত পৌনে ১০টায় রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় চলন্ত সিএনজি থেকে তানিয়া রাস্তায় পড়ে যান। সেসময় তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। তার পরনে ছিল কালো ফতুয়া, জিন্স ও কেডস।
Advertisement
পরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্যের তথ্যের ভিত্তিতে সড়কটি থেকে ওই মেয়েকে উদ্ধার করা করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এআর/জেডএ/পিআর