গোনাহ থেকে আনুগত্যের দিকে এবং গাফলত তথা অজ্ঞতা থেকে আল্লাহর স্মরণের দিকে ফিরে আসার নাম হলো তাওবা। তাওবার মাধ্যমে গোনাহ ও গাফলত থেকে ফিরে এসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করাই হলো ইসতেগফার।
Advertisement
একনিষ্ঠতার সঙ্গে তাওবা ও ইসতেগফার না করে শুধু মুখে মুখে গতানুগতিকভাবে তাওবা-ইসতেগফারের শব্দ বা বাক্য পড়লেই তাওবা বা ক্ষমা হবে না। বরং তাওবা ও ইসতেগফারের সঙ্গে অন্তরের একনিষ্ঠতা আবশ্যক। তবে তাওবার বাক্যগুলো মুখে পড়লে তাতে নেকি রয়েছে।
প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য পাপ বা অন্যায় থেকে তাওবা ও ইসতেগফার করা ওয়াজিব। দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায় থেকে ফিরে আসার জন্য তথা তাওবার জন্য ৫টি কাজ করা একান্ত আবশ্যক। আর তাহলো-
>> তাওবা করতে হবে খাঁটি অন্তরে। শুধু আল্লাহর আজাবের ভয় ও তাঁর নির্দেশের মহত্ত্বকে সামনে রেখে করতে হবে এ তাওবা।
Advertisement
>> অতীত জীবনের সব পাপ ও অন্যায় থেকে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।
>> বর্তমানে জড়িত সব পাপ থেকে বিরত থাকতে হবে।
>> ভবিষ্যতে আর কোনো পাপ না করার জন্য একনিষ্ঠতার সঙ্গে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।
>> আল্লাহর হক, বান্দার হক কোনো কথা বা কাজের মধ্যে নষ্ট হয়ে থাকলে তা থেকে নিজেকে সংশোধণ ও প্রতিকার করতে হবে।
Advertisement
আল্লাহর হক : নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি যথাযথ আদায় না করলে তা পালনে একনিষ্ঠ হওয়া। আবার বান্দার কোনো হক নষ্ট করলে বা বর্তমানে কোনো হক নষ্ট হলে, আগের ও পরের সব হক তার যথাযথ ব্যক্তিকে পরিশোধ করা; প্রকৃত মালিক থেকে দাবি মুক্ত হওয়া। আর এ সব বিষয়ের হকদার যদি মৃতব্যক্তি হয় তবে তার জন্য কিছু সম্পদ সাদকা করে দেয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে তাওবা করার সঙ্গে ক্ষমা লাভে ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি