বিশ্বকাপ ফুটবলের দল ঘোষণার আগে আর্জেন্টিনার কোচ হোর্হে সাম্পাওলি মতামত নেবেন তার দলের প্রধান খেলোয়াড় লিওনেল মেসির। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে খেলা আর্জেন্টিনার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের ওই অঞ্চল ভ্রমণের কথা রয়েছে। তবে সাম্পাওলির ইউরোপ সফরের শুরুটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বার্সেলোনায় মেসির সঙ্গে আলোচনাই দল গঠন প্রক্রিয়ায় অনেকটাই এগিয়ে নেবে সাম্পাওলিকে। কারণ, রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় নির্বাচনে মতামত থাকবে বার্সেলোনা সুপার স্টারের।
Advertisement
মেসির সঙ্গে সাম্পাওলির আলোচনার অর্থ এই নয় যে, কোচ তার সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়ের ফিটনেস ও সর্বশেষ অবস্থা জানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। দু’জনের একসঙ্গে বসার পেছনে বড় কারণ বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে তাদের আলোচনা। মেসি আর্জেন্টিনার এ সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা। নিশ্চয়ই বিশ্বকাপের খেলোয়াড় নির্বাচনে তার অনেক মতামত থাকবে।
গত মাসে সাম্পাওলি ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনা দলের জন্য মেসি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এবং মেসি দুইজনই দলটাকে নিজের মনে করেন। দল গঠণে মেসির মতামতকে গুরুত্ব দেয়ার পেছনে এ কারণগুলোই কাজ করছে।
খুব কম দলই আছে যারা আর্জেন্টিনার মতো একজন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীল। আর্জেন্টিনা মানেই মেসি। অতীতে সেটাই প্রমাণ হয়েছে বারবার। ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে হেরে যাওয়ার পর জাতীয় দল থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন মেসি। তখন মেসিভক্তদের মধ্যে হাহাকার ছিল- রাশিয়া বিশ্বকাপ তাকে পাবে না বলে।
Advertisement
অবসর ঘোষণার পর বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্রথম ৮ রাউন্ডে মেসিকে পায়নি আর্জেন্টিনা। তখন ৮ ম্যাচে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ছিল মাত্র ৭। অবসর ভেঙ্গে মেসি যে ১০ ম্যাচ খেলেছেন সেখানে পয়েন্ট এসেছে ২১। মেসির গোল ছিল ৭টি। সেখানে দলের অন্য কোনো খেলোয়াড়ই দুটির বেশি গোল করতে পারেননি।
রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রধান অস্ত্রই হবেন লিওনেল মেসি। আগের তিন বিশ্বকাপের দুটিতে তিনি ছিলেন দুই রকম সমস্যায়। ২০০৬ সালে মেসি ছিলেন শিশুর মতো। আর ২০১০ বিশ্বকাপে তৎকালীন কোচ দিয়েগো ম্যারাডোনার ছিল মেসির উপর ঈর্ষা। নিঃসন্দেহে তখন ম্যারাডোনা বেশি গুরুত্ব দিতে কার্লোস তেভেজকে। মেসির চেয়ে ৩ বছরের বড় তেভেজও নিজেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন।
আরআই/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement